E-Paper

শ্বশুরবাড়িতে ‘পিটিয়ে খুন’ জামাইকে, গ্রেফতার ছয়

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর আলমের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় গুলশন কলোনির বাসিন্দা গুড়িয়া বিবির। ওই দম্পতির তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৯
An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গত রবিবার, আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে। মৃতের নাম আলম হোসেন (২৯)। বাড়ি তিলজলা থানা এলাকার সাতগাছিতে। এই ঘটনায় আলমের বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতের স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালক। মঙ্গলবার ছ’জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে নাবালক অভিযুক্তকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠান বিচারক। বাকি পাঁচ জনের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর আলমের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় গুলশন কলোনির বাসিন্দা গুড়িয়া বিবির। ওই দম্পতির তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। আলমের পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের বনিবনা হচ্ছিল না। আলম প্রায়ই নেশা করে থাকতেন। এই নিয়ে তাঁদের অশান্তি লেগে থাকত। এই কারণে গত কয়েক মাস ধরে মা-বাবার কাছে থাকছিলেন গুড়িয়া। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় আলমকে ডেকে পাঠান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই মতো ওই যুবক আসেন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে আলমকে মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে গুড়িয়া, তাঁর মা ও বাবা মারধর করেন। আলমের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। এর পরে রিকশায় চাপিয়ে আলমকে তিলজলার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন গুড়িয়ার বাড়ির লোকজন। সোমবার আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই সেখানে মারা যান তিনি।

এর পরেই মঙ্গলবার সকালে আলমের বোন শাবানা পরভিন তাঁর দাদার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীরা জানান, মৃতের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কোথায় আঘাত লেগে আলমের মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Anandapur Kolkata police investigation son in law

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy