প্রতীকী ছবি।
চেন্নাই থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল। একে এই তীব্র গরম। তার মধ্যে এক-একটি থলির ভিতরে চেপেচুপে বেশ কয়েকটি করে ছোট ছোট প্রাণীকে পুরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল থলির মুখ। এক-একটি বড় ট্রলি ব্যাগের ভিতরে সেই রকম মুখ আটকানো বেশ কয়েকটি থলি।
এ ভাবে চেন্নাই থেকে কলকাতায় আসার পথেই মারা গিয়েছে ৮টি ভারতীয় স্টার কচ্ছপ। বাকি ৮২৬টি বিলুপ্তপ্রায় ওই কচ্ছপ উদ্ধার করে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা। এই কচ্ছপ চিনে পাচার করার চেষ্টার অভিযোগে অজয় শূর, অসীম হালদার এবং স্বপন ঘোষ নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সম্প্রতি ডিআরআইয়ের কাছে খবর আসে, বিরল এই কচ্ছপ চেন্নাই থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে কলকাতায় আনা হচ্ছে। দিন দুই আগে অফিসারেরা হানা দেন সাঁতরাগাছি স্টেশনে। তাঁরা স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস থেকে এক বা একাধিক ব্যক্তি নেমে অজয়, অসীম আর স্বপনের হাতে চারটি ট্রলি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে চলে যান। ওই ব্যক্তিদের আর পাওয়া যায়নি। স্টেশন লাগোয়া পার্কিং এলাকায় একটি গাড়িতে ওই চারটি ব্যাগ তোলার সময়ে ডিআরআই অফিসারদের হাতে ধরা পড়ে যান অজয়, অসীম ও স্বপন। তাঁদের নিয়ে ডিআরআই অফিসে এসে ব্যাগ খুলে কচ্ছপগুলি বার করার পরে দেখা যায়, আটটি কচ্ছপ মারা গিয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের শিডিউল-৪ অনুযায়ী এই কচ্ছপ বিদেশে পাচার করা নিষেধ। ডিআরআই অফিসারদের সন্দেহ, কলকাতা থেকে কচ্ছপ নিয়ে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে পাচার করার কথা ছিল বাংলাদেশে। সেখান থেকে চিনে পাঠানোর কথা ছিল সেগুলি। ডিআরআই সূত্রের খবর, কচ্ছপের খোল বাড়িতে সৌভাগ্যের চিহ্ন হিসেবে ঝুলিয়ে রাখার চল রয়েছে চিনে। মূলত সেই কারণেই ভারত থেকে এই কচ্ছপ পাচার করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy