E-Paper

বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম শিশুকন্যা

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, সৌমী পাল নামে ওই শিশুটি কলকাতার একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১০:০৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বেপরোয়া বাইকের দাপাদাপি কলকাতা শহরে নতুন কিছু নয়। তবে এ বার রাতের শহরে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মুখে পড়ল ছ’বছরের এক শিশুকন্যা। রবিবার রাতে কসবার বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে আপাতত ওই শিশুটি ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সঙ্কটজনক। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন বাইকচালক তরুণও।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, সৌমী পাল নামে ওই শিশুটি কলকাতার একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। রবিবার রাতে এক নিকটাত্মীয়ের পারলৌকিক কাজের অনুষ্ঠানের শেষে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সে ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে শুভমকুমার সিংহ নামে বছর উনিশের এক তরুণ বেপরোয়া গতিতে বাইক নিয়ে চলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারেন ফুটপাতে।

পরিবারের অভিযোগ, রেলিং পেরিয়ে এসে বাইকটি কার্যত উড়িয়ে নিয়ে যায় সৌমীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটি বাইকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। বাইক নিয়ে ছিটকে পড়েন শুভমও। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত নিয়ে তিনিও বাইপাসের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। তবে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সৌমীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। তার মাথার চোট গুরুতর। শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাত রয়েছে।

পরিবারের লোকজন জানান, সৌমী তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। দুর্ঘটনার খানিক আগে সে তার মা-বাবার সঙ্গে অনুষ্ঠান বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিল। দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি তাঁদের বাড়ি। অনুষ্ঠানের শেষে রাত পৌনে ১২টা নাগাদ যখন বাড়ি ফেরার তোড়জোড় চলছিল, তখনই ঘটে ওই দুর্ঘটনা। অভিযোগ, বাইকটি রুবি থেকে গড়িয়াহাটের দিকে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি তীব্র গতিতে ফুটপাতের উপরে উঠে পড়ে। বাইকের ধাক্কায় শিশুটি ছিটকে গিয়ে পড়ে ফুটপাতের এক দিকে জড়ো করে রাখা বাঁশের উপরে। কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন বাইকচালকও।

সৌমীর পরিবারের অভিযোগ, বাইকচালক মত্ত অবস্থায় চালাচ্ছিলেন। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বাইকচালক সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kasba

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy