মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজারে ঠাকুরমা ও নাতিকে খুনের ঘটনায় মৃতার ভাইকে এ বার গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আশিস নস্কর। ঘটনার পরপরই ওই খুনে মূল অভিযুক্ত, পেশায় রাজমিস্ত্রি ইসব শেখ ওরফে ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘ জেরা করার পরে আশিসের নাম উঠে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে তলব করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে আশিসকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১২ মে বিকেলে বাড়িতে ঢুকে মায়া মণ্ডল (৫৬) নামে ওই প্রৌঢ়া এবং তাঁর সাত বছরের নাতি সোনুকে খুন করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ইউসুফ প্রথমে জানিয়েছিল, লুটপাটের জন্যই সে দু’জনের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে খুন করেছে। পরে ঘটনার অন্যতম চক্রী হিসাবে আশিসের নাম উঠে আসে। জানা গিয়েছে, দু’জনকে খুন করা হলেও ঘরের কোনও জিনিসে হাত দেওয়া হয়নি। এতে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। গ্রেফতারির পরে ইউসুফকে নিয়ে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। তার পরে অভিযুক্তকে জেরা করে আশিসের নাম জানা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আশিস পেশায় নির্মাণ ব্যবসায়ী। তারই অধীনে ইউসুফ রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কয়েক মাস আগে আশিসের মারফত বাড়ি মেরামতির কাজ করিয়েছিলেন মায়া। ওই কাজ করেছিল ইউসুফই।
পুলিশের দাবি, জেরায় ইউসুফ জানায়, প্রৌঢ়া দিদিকে খুন করার জন্য আশিস তাকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ঘটনার দিন মায়াকে খুন করার সময়ে ঘরে চলে আসে সোনু। সবটা দেখে ফেলায় তাকেও খুন করে ইউসুফ। আশিসকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই দিদিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। যদিও প্রতিশ্রুতি মতো ঘটনার পরে ইউসুফকে কোনও টাকা দেয়নি আশিস। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘ইউসুফ ও আশিসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)