দুষ্প্রাপ্য জিনিস কেনাবেচার পাশাপাশি, ইদানীং সাপের বিষ পরীক্ষাতেও হাতযশ হয়েছিল তাঁর। সাপের বিষ পরীক্ষা করে তার মূল্য নির্ধারণ করার জন্য অগ্রিম টাকা নিতেন। সেই সাপের বিষ পরীক্ষার নামে বিহারে গিয়েই অপহৃত হন মোহন চক্রবর্তী নামে এক ব্যবসায়ী। চিৎপুর অপহরণ-কাণ্ডের তদন্তে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
২৫ জুলাই চিৎপুর থানায় চন্দ্রনাথ সিমলাই লেনের বাসিন্দা মারিয়ম চক্রবর্তী নামে এক তরুণী তাঁর বাবা মোহন চক্রবর্তীর নামে অপহরণের অভিযোগ করেন। মারিয়মের দাবি, ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। তিনি জানান, ব্যবসার কাজে বিহারে গিয়ে অপহৃত হন মোহন। তদন্তে নেমে শনিবার তাঁকে উদ্ধারের পাশাপাশি, এক জনকে ধরেছে লালবাজার।
পুলিশ জেনেছে, ব্যবসার পাশাপাশি সাপের বিষ চেনার কাজ করতেন মোহন। সাপের বিষ বারও করতেন। অভিযুক্তেরা বিহারের জঙ্গল থেকে সাত ফুট লম্বা একটি বিষধর সাপ ধরলে সেটির বিষের মূল্য নিয়ে ধন্দে পড়ে। এর পরেই মোহনের ডাক পড়ে। এ জন্য ৭০ হাজার টাকা নিয়ে, সাপ দেখে পরীক্ষার জন্য বিহারে যান মোহন। কিন্তু পরীক্ষার সময়ে সাপটি মারা গেলে অভিযুক্তেরা মোহনের থেকে টাকা দাবি করে। না দিলে তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা হয়। গয়ায় একটি সভাগৃহ ভাড়া নিয়ে আটকে রাখা হয় মোহনকে। বাইরে পাহারার বন্দোবস্তও হয়। চক্রে প্রায় ১০ জন যুক্ত ছিল বলে অনুমান লালবাজারের। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের কয়েক জনকে চিনতেন ব্যবসায়ী। তাঁদের কথায় বিহারে যান।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)