সম্প্রতি হরিদেবপুর থানা এলাকায় ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারী এক মোটরবাইক চালককে আটকানোয় তাঁর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট
এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক যুবক ও তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌরভ মল্লিক এবং আলেঙ্কা মল্লিক। এ দিকে, সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই শহরে ফের পুলিশ আক্রান্ত হওয়ায় নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। ১০০ ডায়ালে ফোন করে এক যুবক অভিযোগ করেন, তিনি এবং তাঁর বান্ধবী ইএম বাইপাসের ধারে একটি
পানশালায় আছেন। সেখানকার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ওই পানশালায় পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেই দলে এক জন এএসআই, এক জন হোমগার্ড এবং এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগকারী যুবক ও যুবতীকে দেখেন। ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক ওই যুবকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পানশালার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে অভব্যতা করেছেন। এর পরে তদন্তকারী-দলে থাকা এএসআই যুবককে লিখিত অভিযোগ জানানোর কথা বললে তিনি তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন ওই এএসআই-কে ধাক্কা মারেন সৌরভ। ঊর্ধ্বতন ওই অফিসারকে হোমগার্ড বাঁচাতে এলে তাঁকেও ধাক্কা মারা হয়। এমনকি, সৌরভের সঙ্গী যুবতীও আনন্দপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিককে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। শেষে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার বাধা দিতে এলে তাঁকে চুল ধরে মারধর করেন অভিযুক্ত আলেঙ্কা। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, তাঁর পেটেও লাথি মারা হয়েছে।
যদিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পানশালার কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই যুবক এবং তাঁর বান্ধবী পানশালার ভিতরে বসে অন্য খদ্দেরদের ভিডিয়ো করছিলেন। তাঁদের বারণ করা হলেও তাঁরা শোনেননি। এর পরে ওই দু’জনকে বার করে দেন কর্মীরা।
গোলমালের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে সৌরভ এবং আলেঙ্কাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্তেরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেই পুলিশের দাবি। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)