আরপিস কাহালোঁর সঙ্গে হাওলার যোগ রয়েছে। মনে করছে কলকাতা পুলিশ। এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক বার বিপুল অঙ্কের টাকার অনৈতিক লেনদেন করেছেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান আরপিএস কাহালোঁ। দাবি পুলিশের। সেই টাকা তিনি হাওলার মাধ্যমে বিদেশে সরিয়ে দিয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। এই কাজে কাহালোঁর সাগরেদ নাকি তাঁরই এক অস্ট্রেলীয় নিকটাত্মীয়া। খবর পেয়েছে পুলিশ। দু’জনে মিলে হাওলার মাধ্যমে বিদেশে বহু টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। কালো টাকা কাহালোঁ কোথায় সরালেন, পুলিশ এখন তা-ই এখন খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।
আইএএস অফিসার কাহালোঁ কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে গত কয়েক বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বরাত পেয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। এই সব বরাত দেওয়ার পিছনে বিপুল অঙ্কের ঘুষের লেনদেন হয়েছে বলে এসটিএফের ধারণা। পুলিশ সূত্রের খবর, কাহালোঁর একাধিক বেআইনি আর্থিক লেনদেনের খবর বহু দিন আগে থেকেই ছিল এসটিএফের কাছে। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে বিভিন্ন সংস্থাকে বন্দরের নানা কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা গত কয়েক বছরে কাহালোঁ ঘুষ নিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। সেই টাকার অধিকাংশই তিনি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে পুলিশ মনে করছে। বিদেশি নিকটাত্মীয়ার সাহায্যে হাওলার মাধ্যমে এই টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে এসটিএফ খবর পেয়েছে। ঠিক কোথায় কোথায় টাকা পাচার করে দিয়েছেন কাহালোঁ, এসটিএফ এখন সে বিষয়টিই তদন্ত করে দেখছে।
আরও পড়ুন:
ব্যাগে ২০ লক্ষ, হোটেলে পাতা ফাঁদে বন্দর-প্রধান
হাওলার সঙ্গে আরপিএস কাহালোঁর যোগ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ খুঁজে বার করাই এখন এসটিএফের মূল লক্ষ্য। কাহালোঁ এবং তাঁর বিদেশি নিকটাত্মীয়ার সঙ্গে হাওলার যোগসূত্রের পোক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলেই জালে আরও জড়িয়ে যাবেন এই আইএএস অফিসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy