কাগজে কলমে প্রথমে দেখানো হয়েছিল, ছাতার অংশ আমদানি করা হয়েছে। পরে বলা হয়, ছাতা নয়। পুরনো জামাকাপড় আমদানি করা হয়েছে বিদেশ থেকে। খিদিরপুরের নেতাজি সুভাষ ডকে বন্ধ কন্টেনারে মজুত করা সেই ‘পুরনো জামাকাপড়’ চলে এসেছিল অগস্ট মাসেই।
এই আমদানি নিয়ে সন্দেহ হয় ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর। সম্প্রতি খিদিরপুর ডকে গিয়ে সেই কন্টেনার থেকে ৩ কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট উদ্ধার করেছেন ডিআরআই অফিসারেরা। গ্রেফতার করা হয়েছে সিগারেট আমদানিকারী, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারকে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ৩৩ লক্ষ ৭২ হাজারটি সিগারেট আনা হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া থেকে। বিদেশি সিগারেট ভারতে এনে বিক্রি করতে হলে নির্দিষ্ট শুল্ক কর দিতে হয়। অভিযোগ, সেই কর এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই লুকিয়ে আনা হচ্ছিল সিগারেট। পুরনো জামাকাপড় বা ছাতার যন্ত্রাংশের উপরে কর বিদেশি সিগারেটের চেয়ে কম। অভিযোগ, তারই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আমদানিকারী।