E-Paper

প্রাথমিকে ৫০ হাজার শূন্য পদের দাবিতে মিছিল

এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরেরই এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২২১৫টি প্রাথমিক স্কুলে এক জন মাত্র শিক্ষক। প্রাথমিক স্কুল বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৩১

—প্রতীকী চিত্র।

ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট পাশদের বৃহস্পতিবার শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি নিয়ে মিছিল ছিল শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল। সেই মিছিলে ছিলেন ক্যানিং থেকে আসা হুইলচেয়ারবন্দি সহরজান লস্কর নামে এক তরুণী। অন্যদের মতোই তিনিও বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদ দিয়েছে, তা মানছি না। শূন্যপদ বৃদ্ধি করে অন্তত ৫০ হাজার করতে হবে।’’

মিছিলের আয়োজক ছিল প্রাইমারি টেট পাশ ডি এল এড ঐক্য মঞ্চ। মঞ্চের তরফে ২০২২ সালের টেট পাশ ডিএলএড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজী বলেন, ‘‘এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০২২ এবং ২০২৩ সালের ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণদের পাশাপাশি ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও অংশ নেবেন। ৬০ হাজার টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করবেন। সেখানে কেন শূন্যপদ ১৩ হাজার ৪২১?’’

এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরেরই এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২২১৫টি প্রাথমিক স্কুলে এক জন মাত্র শিক্ষক। প্রাথমিক স্কুল বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।’’ মিছিলের শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে কিছু ক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ করলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ দিনের মিছিলে ছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর মতে, প্রাথমিক শিক্ষাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে এই সরকার। কয়েক জন প্রতিনিধি বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দেন।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘শূন্যপদ নির্ধারণ করে শিক্ষা দফতর। টেট পাশের সঙ্গে নিয়োগের সম্পর্ক নেই। টেট পাশ করাটা নিয়োগের যোগ্যতার মাপকাঠি মাত্র।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Vacancy demand

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy