সোমবার ধাপার দুর্গাপুরে, বিনা মজুরিতে মোটরভ্যানে সামগ্রী নিয়ে যেতে আপত্তি করার কারণে সেই চালকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি।
মজুরি না পাওয়ায় মোটরভ্যানে সামগ্রী নিয়ে যেতে আপত্তি করেছিলেন চালক। অভিযোগ, এর পরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সোমবার ধাপার দুর্গাপুরের ওই ঘটনায় চালকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় রাতেই। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত তারক মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। আক্রান্তের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচু মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, চালক রঞ্জন পোরেল সোমবার সন্ধ্যায় ধাপার দুর্গাপুরে মোটরভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রঞ্জনের দাবি, ‘‘তারক আমাকে হুমকি দিয়ে বলে তার কিছু মালপত্র নিখরচায় বয়ে দিতে হবে। আগেও এই ভাবে তারক টাকা দেয়নি। তাই আপত্তি করি। তখনই আমার উপর চড়াও হয়।’’ স্থানীয়েরা জানান, দু’জনের মধ্যে প্রবল বচসা শুরু হয়। রঞ্জনের অভিযোগ, ‘‘বচসার মধ্যেই তারক ও তার সঙ্গী পাঁচু মণ্ডল আমাকে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’
ঘটনাস্থলের কাছেই রঞ্জনের বাড়ি। খবর পেয়ে পরিজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে এনআরএসে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতেই প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আরও অভিযোগ, থানায় যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালে তারকের দলবল রঞ্জনের বাড়িতে হানা দেয়। তারকের স্ত্রী এবং মাকেও মারধর করা হয়। এর পর রঞ্জনের পরিবারের সদস্যেরা প্রগতি ময়দান থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। রঞ্জনের স্ত্রী রীতা পোরেলের অভিযোগ, ‘‘তারক-সহ কয়েক জন এসে বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। হাতে চোট লেগেছে।’’
রঞ্জনের পরিবারের অভিযোগ, তারক তোলা তোলে। তারই প্রতিবাদ করায় মারধর করা হল। এ দিকে তারকের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন, ‘‘দু’পক্ষকেই চিনি। এক জন গ্রেফতারও হয়েছেন। দোষ প্রমাণিত হলে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’’ প্রগতি ময়দান থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তারকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy