Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Cyber Fraud

সাইবার প্রতারণার ফাঁদে উধাও বোনের বিয়ের জন্য জমানো টাকা

অজয় জানান, ফোনে তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলার দাবিকে প্রথমে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, হারিয়ে যাওয়া নথি ব্যবহার করেই হয়তো কেউ সেই কাজ করেছে।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৪২
Share: Save:

সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খোয়া গেল বোনের বিয়ের জন্য জমানো
৫১ হাজার টাকা। জমানো টাকার সর্বস্ব খুইয়ে এর পরেই মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক যুবক। কলকাতায় কাজে এসে এ ভাবে সাইবার প্রতারণার শিকার হওয়ায় কার্যত অথৈ জলে পড়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারীর নাম অজয় দাস। নদিয়ার পলাশীর বাসিন্দা ওই যুবক মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কে চুক্তিভিক্তিক অস্থায়ী কর্মী। মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কেই থাকেন তিনি। অজয়ের অভিযোগ, গত ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। নিজেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কর্তা বলে পরিচয় দেয় ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি। অভিযোগ, সে অজয়ের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ আনে। এমনকি এ-ও জানানো হয়, অজয়ের ব্যক্তিগত নথি ব্যবহার করে তাঁর নামে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে বলেও ফোনে দাবি করে ওই ব্যক্তি। অজয়ের কথায়, ‘‘পুলিশকর্তার পরিচয় দেওয়ায় প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর পরে মিটমাটের জন্য আমাকে একটি আলাদা ঘরে যেতে বলা হয়। ভিডিয়ো কলে পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা খতিয়ে দেখার কথা বলে। না হলে পুলিশ এসে আমাকে গ্রেফতার করবে বলে ভয় দেখানো হয়।’’ অভিযোগ, এর পরে অভিযুক্তের কথা মতো তথ্য দিলে অজয়ের অ্যাকাউন্টে থাকা ৫১ হাজার টাকা ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ১০ তারিখ বিকেলেই মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অজয়।

ওই যুবকের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে শিয়ালদহ এলাকায় তাঁর ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল। সেই ব্যাগে বেশ কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্র ছিল। অজয় আরও জানান, ফোনে তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলার দাবিকে প্রথমে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। কারণ, তাঁর মনে
হয়েছিল, হারিয়ে যাওয়া নথি ব্যবহার করেই হয়তো কেউ সেই কাজ করেছে। অজয় জানিয়েছেন, নদিয়ায় তাঁর বাড়িতে রয়েছেন বোন এবং বৃদ্ধ মা-বাবা। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে অজয় বোনের বিয়ের জন্যেই টাকা জমাচ্ছিলেন। কিন্তু সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সেই টাকা খুইয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyber fraud Financial Fraud police investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE