স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংসারে একটা টাকাও দেন না তিনি। উপরন্তু, এক মহিলার সঙ্গে নাকি তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তার উপরে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পরে খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল স্ত্রী। অভিযোগ, এত রকম দুশ্চিন্তা, হতাশা আর অবসাদ থেকেই তিন দিনের শিশুকন্যাকে খুন করেছিল সে। সেই ঘটনার ছ’মাস পরে রবিবার বিকেলে আনন্দপুরের আদর্শনগর নোনাডাঙার বাসিন্দা সোনিয়া সেন ওরফে সোনিয়া বারুইকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিন দিনের মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় সোনিয়া। কিন্তু চিকিৎসকেরা দেখেন, ওই শিশুটি তত ক্ষণে মারা গিয়েছে। কী ভাবে সে মারা গেল, তা জানতে চাওয়া হলে সোনিয়া হাসপাতালে জানায়, মেয়েকে খাওয়ানোর পরে বছর দেড়েকের ছেলের পাশে শুইয়ে বাড়ির কাজ করছিল সে। ঘণ্টাখানেক পরে গিয়ে দেখে, মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ নেই। হাসপাতালের তরফে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে স্থানীয় আনন্দপুর থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়।
পরের দিন ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ওই শিশুকন্যার গলায় নখের দাগ মিলেছে। এর পরে ওই চিকিৎসক সোনিয়া, তার দেড় বছরের ছেলে, মা ও শাশুড়ির হাতের নখ পরীক্ষা করেন। কিন্তু সেই পরীক্ষায় কিছুই মেলেনি বলে থানা থেকে সে সময়ে জানানো হয়।