জনরোষ: জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ধর্ষকের মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র
তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার রসপুঞ্জ গ্রামের কাজিপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী। বাড়ি তৈরির পর থেকে সুরজিৎ প্রামাণিক ও নিতাই সর্দার নামে স্থানীয় দুই যুবক মাঝেমধ্যেই রাতে গিয়ে ওই পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করত। সে দিন রাত ১১টা নাগাদ নিতাই ও সুরজিৎ এসে ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছে হাজার টাকা চায়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে পাশের ঘরে তাঁর স্ত্রীকে পরপর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। স্বামী-স্ত্রীর চিৎকার শুনে পাশের একটি বিয়েবাড়ি থেকে লোকজন এসে উপস্থিত হন। দুই দৃষ্কৃতীর খোঁজ শুরু হয়। খবর যায় বিষ্ণুপুর থানায়। রাস্তার পাশের একটি ঝোপ থেকে সুরজিৎকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে ধরা পড়ে নিতাই। উত্তেজিত জনতা সুরজিতের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘ওই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে ফাঁকা মাঠের পাশে আড়াই কাঠা জমি কিনে বাড়ি করেছেন ওই দম্পতি। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, বাড়ি তৈরি করার সময়েই ওই পরিবারের সঙ্গে সুরজিতের পরিচয় হয়। ধৃত নিতাই ও সুরজিতের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ওই দম্পতি নতুন বাড়ি করেছেন বলেই তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল দুই তোলাবাজ।
তদন্তকারীরা জানান, চুরির অভিযোগে নিতাই বেশ কয়েক বার গ্রেফতারও হয়েছে। ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, রাতে ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হওয়ার আগে সেই বাড়ির পাশে বসেই মদ খেয়েছিল তারা। সঙ্গে ছিল গাঁজার পাতা কাটার ছুরি। সেটাই ওই বধূর স্বামীর গলায় ঠেকানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy