প্রতীকী ছবি।
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে খুন করার পরে বাড়িরই জলাধারে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দেহ। প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত (৩৬) নামে সেই মহিলাকে খুনের ঘটনায় বুধবার রাতেই স্বামী আবির পুরকাইতকে গ্রেফতার করেছিল জগদ্দল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার শাশুড়ি সবিতা পুরকাইতকেও গ্রেফতার করল তারা। মা ও ছেলে, দু’জনকেই এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক আবিরকে আট দিন পুলিশি হেফাজতে ও সবিতাকে ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
জগদ্দল থানার শ্যামনগরের শান্তিগড়ে খুনের এই ঘটনায় পুলিশের সামনে এখন অনেকগুলি প্রশ্ন। খুনের কারণ, খুনের পদ্ধতি এবং সেই সময়ে কারা সেখানে উপস্থিত ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এ দিন অবশ্য প্রিয়াঙ্কাকে খুনের পিছনে আর এক মহিলার ইন্ধনের বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, আবির ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ভাল ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। প্রিয়াঙ্কাকে ঠিক মতো খেতে না দেওয়ার পাশাপাশি মারধরেরও অভিযোগ করেছেন তাঁর মাসি মায়ারানি মণ্ডল। মৃতার মাসতুতো দাদা সন্দীপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বোন বলেছিল যে, অফিসে এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আবিরের। এই ঘটনায় ওই মহিলার ইন্ধনও থাকতে পারে। বোনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি একাধিক বার।’’ প্রিয়াঙ্কার বাবা-মায়ের সঙ্গেও এ দিন কথা বলেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy