দিনের বেলা প্রকাশ্য রাস্তায় পাওয়া গেল ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্ষতবিক্ষত এক তরুণীকে। দিল্লি কিংবা বেঙ্গালুরু নয়, শনিবার সকালে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে এই শহরেই। জখম তরুণী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ই এম বাইপাস এলাকার মুকুন্দপুর মোড়ের কাছে সার্ভিস রোড থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। সকাল ন’টা নাগাদ এক ট্যাক্সিচালক প্রথমে ওই তরুণীকে দেখতে পান। তিনি পূর্ব যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে বিষয়টি জানান। তার পরে পুলিশ ওই জখম তরুণীকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের ওই তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ দিন বিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এখনও তিনি পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন। ওই তরুণী এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় না থাকায় এই হামলার বিষয়ে তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই তরুণীর পাশে একটি সাইকেল এবং মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। মোবাইল ঘেঁটে পুলিশ ওই তাঁর পরিবারের নম্বর উদ্ধার করে। জানা যায়, তরুণীর নাম শিউলি মল্লিক। তাঁর মা আলো সাহা জানান, শিউলি সোনারপুরে থাকেন। মা ও মেয়ে সার্ভে পার্কের একটি মন্দিরে সাফাইয়ের কাজ করেন। আলোদেবী মুকুন্দপুরে থাকেন। শিউলি প্রতিদিন সকালে সাইকেলে চড়ে সোনারপুর থেকে সার্ভে পার্কে ওই মন্দিরে কাজ করতে আসতেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুই আগে শিউলিদেবীর স্বামী লিভারের অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পরে শিউলিদেবীর সঙ্গে আর এক ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরি হয়। বেশ কয়েক দিন ধরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। শিউলিদেবীর মায়ের সন্দেহ, এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে এখনও আইনমাফিক কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলা গেলে তবেই তদন্ত নির্দিষ্ট পথে এগোনো যাবে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। পুলিশের একটি দল এ দিন ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy