Advertisement
E-Paper

বৃষ্টিতে গাছ পড়ে ক্লাবে মৃত্যু কর্মীর

দুর্ঘটনার পরেই তাঁকে কড়েয়া থানা এলাকার ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান ক্লাবের কর্মীরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ক্লাবের অন্য কর্মীরা এ দিন জানান, বছর আড়াই আগে সেখানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন সোহেল। মিষ্টভাষী ওই যুবক সকলেরই প্রিয় ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৮
দুর্ঘটনা: ক্লাব চত্বরের এখানেই ভেঙে পড়ে গাছ। শনিবার, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

দুর্ঘটনা: ক্লাব চত্বরের এখানেই ভেঙে পড়ে গাছ। শনিবার, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে কাজে বেরিয়েছিলেন বছর চব্বিশের যুবকটি। কাজের জায়গায় ঢুকে হাজিরা খাতায় সই করার সময়ে হুড়মুড়িয়ে তাঁর ঘাড়ে পড়ল পেল্লায় একটি দেবদারু গাছ। আর তাতেই বেঘোরে মারা গেলেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে বালিগঞ্জ থানা এলাকার সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বাসভবন লাগোয়া একটি ক্লাবে। মৃত যুবকের নাম শেখ সোহেল (২৮)। তাঁর বাড়ি সাত নম্বর সাউথ ট্যাংরা রোডে। তিনি ওই ক্লাবের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। রান্নার কাজ করতেন। দুর্ঘটনার পরেই তাঁকে কড়েয়া থানা এলাকার ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান ক্লাবের কর্মীরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ক্লাবের অন্য কর্মীরা এ দিন জানান, বছর আড়াই আগে সেখানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন সোহেল। মিষ্টভাষী ওই যুবক সকলেরই প্রিয় ছিলেন।

ওই ক্লাবের প্রবেশপথের বাঁ দিকে দু’টি দেবদারু গাছ রয়েছে। গেট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘর। তার সামনেই সাইকেল রেখে হাজিরা খাতায় সই করছিলেন সোহেল। যে গাছটি সোহেলের ঘাড়ে পড়ে, সেটি পুরনো। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সেই গাছ হুড়মুড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহেল। নিরাপত্তারক্ষীরা ও ক্লাবের কর্মীরা গাছটি কোনও মতে সরিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া সোহেল তত ক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। পাঁজাকোলা করে একটি গাড়িতে তুলে তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

এ দিন ওই ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ঢোকা ও বেরোনোর সব গেটে তালা দেওয়া। প্রবেশদ্বারের সামনে পড়ে রয়েছে খণ্ডিত দেবদারু গাছটি। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও কথা বলতে রাজি নন। ক্লাবের এক পুরনো কর্মী জানালেন, সোহেল মূলত চিনা খাবার তৈরি করতেন।

এ দিন ব্রড স্ট্রিটের ওই নার্সিংহোমের সামনে দাঁড়িয়ে সোহেলের কয়েক জন বন্ধু জানান, বৃষ্টির মধ্যে কাজে যেতে ছেলেকে বারণ করেছিলেন সোহেলের বাবা শেখ সুলেমান। কিন্তু সোহেল শোনেননি। পুলিশ জানায়, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে ওই যুবকের দেহের ময়না-তদন্ত হবে।

Bulbul Cyclone Bulbul ঘূর্ণিঝড় বুলবুল accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy