—প্রতীকী ছবি
কয়েক বিঘা জমির উপর দু’ তিনটি মাত্র বিল্ডিং নিয়ে দাঁড়িয়ে একটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। শয্যাও হাতে গোনা। চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় তলানিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের ফাঁকা জমিতে চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে বিভিন্ন মহলে বারবার আবেদন করেন। লাভ হয়নি। উপরন্তু দখলদারে ভরে গিয়েছে চত্বর।
বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই ছবি এ বার বদলাতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রথম যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ এখানে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেলুড় হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রাজ্যের আয়ুষ, যোগ ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তুষার শীল, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিধায়ক নির্মল মাজি প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রথম যোগ রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতাল হাওড়ায় হওয়ার কথা থাকলেও জমির অভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণীতে ওই জমির ব্যবস্থা করেন। সেখানেই তিনশো কোটি টাকার ওই প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈশালী বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজটি করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। উনি খুবই
আগ্রহী হয়েছেন ওই কলেজ তৈরির বিষয়ে। তাঁর ইচ্ছায় বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই হতে চলেছে এই প্রকল্প।’’ তিনি
আরও জানান, পরবর্তী পর্যায়ে হাসপাতাল সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে এর সম্প্রসারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
হাসপাতালের অব্যবহৃত নতুন ভবনেই শুরু হবে এই যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে দু’টি ঘরে ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার পাশাপাশি, ২৫ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। এ ছাড়াও মেডিটেশন হল, যোগ অনুশীলনের ঘরেরও ব্যবস্থা থাকছে। কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ তৈরির মতো অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বেলুড়ে। চূড়ান্ত প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, আপাতত ৫০ জনকে নিয়ে কলেজ শুরু করা হবে। সাড়ে চার বছরের কোর্স শেষে পড়ুয়ারা ব্যাচেলর অফ ন্যাচারোপ্যাথি অ্যান্ড যোগ সায়েন্সেস-এর ডিগ্রি পাবেন। জীববিদ্যা নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলে তবেই এই কোর্সে ভর্তির সুযোগ মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy