Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাতের আগুন নিভতে ২০ ঘণ্টা

টানা ১৫ ঘণ্টা ধরে লড়াই চালানোর পরে আয়ত্তে এল বড়বাজারের তিন নম্বর আমড়াতলা লেনের আগুন। যদিও পুরো নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা গড়িয়ে গিয়েছে বলেই দমকল সূত্রের খবর।মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়বাজারের ওই বাড়ির বিভিন্ন কোনায় ধিকিধিকি আগুন জ্বলেছে।

অগ্নিযুদ্ধ: আগুন লেগেছিল সোমবার রাতে। মঙ্গলবার দুপুরেও তা নেভাতে কাজ করছে দমকল। বড়বাজারের আমড়াতলা লেনে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

অগ্নিযুদ্ধ: আগুন লেগেছিল সোমবার রাতে। মঙ্গলবার দুপুরেও তা নেভাতে কাজ করছে দমকল। বড়বাজারের আমড়াতলা লেনে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

টানা ১৫ ঘণ্টা ধরে লড়াই চালানোর পরে আয়ত্তে এল বড়বাজারের তিন নম্বর আমড়াতলা লেনের আগুন। যদিও পুরো নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা গড়িয়ে গিয়েছে বলেই দমকল সূত্রের খবর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়বাজারের ওই বাড়ির বিভিন্ন কোনায় ধিকিধিকি আগুন জ্বলেছে। কোথাও গলগল করে বেরোতে দেখা গিয়েছে ধোঁয়াও। ফলে পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা বাড়িটির চারপাশ থেকে জল ঢেলে গিয়েছেন দিনভর। এ দিন দুপুরের পর থেকে সেটির অনেকাংশে ছাদ ভেঙে পড়েছে।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঢোকার মূল দরজার অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একতলার ছাদ। ভিতরে কাঠের সিঁড়িটার আর অস্তিত্বই নেই। বাড়িটার এমনই হাল যে, সেটিকে ভেঙে ফেলা দরকার বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।

সোমবার সারা রাত ধরে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন কাজ করার পরে এ দিন সকাল থেকে ১৫টি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে। বা়ড়িটির পিছনের দিকে কোনও রাস্তা না থাকায় দমকল প্রবল সমস্যায় পড়ে। লম্বা লম্বা পাইপ দিয়ে জল টেনে সেগুলি বিভিন্ন বাড়ির ভিতর দিয়ে ছাদে নিয়ে গিয়ে জল ছড়াতে হয়।

ঘিঞ্জি এলাকায় বাড়িকে বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করতে দিল কে, উঠছে প্রশ্ন। সেখানে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল কি? পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় একশো বছরের পুরনো এই বাড়িটি আদতে ওয়াকফ সম্পত্তি। বাড়িটির তিন জন ‘কেয়ারটেকার’ আছেন। তাঁদেরই এক জন আসরাফ আরিফের দাবি, তিনতলা বাড়িটির শুধু একতলাটি ব্যবসার কাজে ভাড়া দেওয়া ছিল। বাকি দু’টি তলায় তাঁর পরিবার, আত্মীয় ও কিছু ভাড়াটে পরিবার থাকেন। সেখানে কোনও গুদাম বা দোকান ছিল না।

যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আগে লোক থাকলেও, এখন একতলার পুরোটা ও দোতলার কিছ অংশ ভাড়া দেওয়া ছিল। সেখানে একের পর এক গুদাম তৈরি হয়েছে। সেগুলি দাহ্য পদার্থে ঠাসা, অথচ অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা নেই। সে রকম কোনও গুদাম থেকেই সোমবার আগুন লাগে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

পুরসভা জানায়, ফরেন্সিক তদন্তের পরেই বাড়ি ভাঙার কাজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE