Advertisement
E-Paper

সবুজায়ন ঘিরে বৈষম্যের অভিযোগ এলাকাবাসীর

আপাতত উদয়শঙ্কর সরণির একটি অংশ, গল্ফগ্রিন সেন্ট্রাল পার্কের দিকে সবুজায়নের উদ্যোগ হয়েছে।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৫
চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে সবুজায়ন চলছে। অন্য দিকে, তার কোনও পরিকল্পনাই নেই।

কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় সবুজায়ন ঘিরে এই বৈষম্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। অথচ রাজ্য সরকারের ‘গ্রিন মিশন’ প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থে সবুজায়নের এই পরিকল্পনা হয়েছে। এই বরোর অধীন রয়েছে ১২টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে, উদয়শঙ্কর সরণি, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও আনোয়ার শাহ কানেক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে। অভিযোগ, সেই সব এলাকা জুড়ে সবুজায়ন সমান ভাবে হচ্ছে না।

কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের অর্থে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট বরোর কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পের মূলই হল পরিবেশরক্ষায় ‘সবুজায়নের ব্যবস্থাপনা’। চিহ্নিত অংশগুলির মধ্যে রয়েছে উদয়শঙ্কর সরণি, টালিগঞ্জ করুণাময়ী সেতু সংলগ্ন অঞ্চল এবং আনোয়ার শাহ কানেক্টরের একটি অংশ। চিহ্নিত এলাকার জন্য স্থানীয় বরো কত টাকার পরিকল্পনা করছে, তার তালিকা পাঠালেই অর্থ বরাদ্দ হবে।

আপাতত উদয়শঙ্কর সরণির একটি অংশ, গল্ফগ্রিন সেন্ট্রাল পার্কের দিকে সবুজায়নের উদ্যোগ হয়েছে। অন্য জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ, এলাকার বহু ওয়ার্ডেই গাছের সংখ্যা কম। যেমন, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেক গার্ডেন্স অঞ্চলে রাস্তা অপরিসর থাকায় ধারে গাছ পোঁতা নিয়ে সমস্যায় তা হয়ে ওঠেনি। বাঘা যতীনের ৯৮, ৯৯ নম্বর-সহ অনেক ওয়ার্ড থেকেও অপরিকল্পিত সবুজায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন,‘‘বরো মিটিংয়ে এ নিয়ে অনেক বার আলোচনা হয়েছে। কাউন্সিলরদের নিজের এলাকায় ‘গ্রিন মিশন’ প্রকল্পে কাজ করার জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। সবাই এখনও দেননি।’’ ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরএসপি-র দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঠিক মতো সবুজায়ন হচ্ছে না। ‘গ্রিন মিশন’ প্রকল্পে কাউন্সিলরেরা আবেদন করেও বরো থেকে সাহায্য পাননি। শুধু শাসকদলের নেতা-নেত্রীই এর সুবিধা পাচ্ছেন।’’ মেয়র পারিষদ (বর্জ্য অপসারণ) তথা ১০ নম্বর বরোর ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পুরসভার উদ্যান দফতরের দাবি, প্রতি ওয়ার্ডে নিয়ম মেনে সবুজায়ন করতে বলা হয়েছে। নিয়ম হল, প্রতি গাছের দূরত্ব থাকবে ১০ ফুট। শিকড় প্রায় দু’ফুট ভিতরে থাকবে। অতএব বড় গাছ লাগানো হবে না। ছোট যে গাছ বেশি ছায়া দেয় এবং ঝড়ে পড়ে যায় না তাই-ই লাগানোর কথা।

Kolkata Municipal Corporation Discrimination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy