Advertisement
E-Paper

School: বিধি ভেঙে প্রাথমিকের ক্লাস, অভিযুক্ত বারাসতের সেই স্কুল

দূরত্ব-বিধি না মেনেই প্রাথমিকের পড়ুয়ারা এক বেঞ্চে ঠেসাঠেসি করে বসতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:২১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের বসার জায়গার অভাবকে কেন্দ্র করে ফের জটিলতা তৈরি হচ্ছে বারাসতের একটি সরকার-পোষিত স্কুলে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। যার জেরে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য মাধ্যমিক বিভাগ পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ দিচ্ছে না। ফলে দূরত্ব-বিধি না মেনেই প্রাথমিকের পড়ুয়ারা এক বেঞ্চে ঠেসাঠেসি করে বসতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে শনিবার সকালে বারাসতের ছোটবাজার এলাকার ওই স্কুলের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁরা বারাসত পুরসভার স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপক দাশগুপ্তের সঙ্গে এ দিন দেখাও করেন। অভিভাবকদের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কথা বলব।’’

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুল চালুর পরে শ্রেণিকক্ষের অভাবে এই স্কুলের চাতালে বসিয়েই প্রাথমিকের ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল। ঠান্ডার মধ্যে বসে ক্লাস করায় পড়ুয়াদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন অভিভাবকেরা। এক দিন সময়ের আগে স্কুল ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। যা ঘিরে ব্যাপক জলঘোলা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, সেকেন্ডারি বিভাগের ঘরগুলিও প্রাথমিকের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে ১৫-১৬টি ঘর রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য ছাড়া হয়েছে তিন-চারটি ঘর! একাধিক সেকশনকে একসঙ্গে বসিয়েই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এক অভিভাবকের প্রশ্ন, ‘‘কোভিডের প্রকোপ কমেছে হয়তো, তা বলে দূরত্ব-বিধি না মানলে হবে? বাচ্চারা এখনও করোনার প্রতিষেধক পায়নি। ওরা সর্দি-কাশিতে ভুগছে। স্কুলের নিজস্ব সমস্যার খেসারত কেন দেবে পড়ুয়ারা?’’

স্কুলের সেকেন্ডারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক শেখ আলি আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ঘরের জন্য স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এপ্রিলে বৈঠক হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যে ক’টি ঘর প্রাথমিককে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্লাস চালানো যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক আকাশ মজুমদারকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।

অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।

school COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy