Advertisement
E-Paper

মাস ঘুরতেই বেহাল টালার বিকল্প রাস্তা

দুর্গাপুজোর আগে থেকেই টালা সেতুতে বাস ও লরির মতো ভারী যান চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। বদলে চিড়িয়ামোড় ও রাজা মণীন্দ্র রোড দিয়ে ভারী গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর জি কর রোড বা দমদম রোডের দিকে।

নীলোৎপল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:১৫
ভাঙাচোরা: এমনই অবস্থা কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের রাজা মণীন্দ্র রোডের। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

ভাঙাচোরা: এমনই অবস্থা কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের রাজা মণীন্দ্র রোডের। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

টালা সেতুর ভার লাঘব করতে বিকল্প রাস্তা করা হয়েছে পাইকপাড়ার রাজা মণীন্দ্র রোডকে। তবে ভারী গাড়ির চাপে সেই রাস্তারই এখন বিপজ্জনক অবস্থা। যেখানে সেখানে তৈরি হয়েছে গর্ত। তার মধ্যেই গাড়ির চাপে ফেটে গিয়েছে টালা জলাধার থেকে আসা ওই রাস্তার নীচের মূল পাইপটি। সেই পাইপ থেকে বেরোনো জলে জমা গর্তের উপর দিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। দু’সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও পুর-প্রশাসনের সে দিকে ভ্রূক্ষেপই নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

দুর্গাপুজোর আগে থেকেই টালা সেতুতে বাস ও লরির মতো ভারী যান চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। বদলে চিড়িয়ামোড় ও রাজা মণীন্দ্র রোড দিয়ে ভারী গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর জি কর রোড বা দমদম রোডের দিকে। হঠাৎ করেই ভারী গাড়ির চাপ এসে পড়ায় রাজা মণীন্দ্র রোডের এই হাল হয়েছে বলে দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দা সমীর দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘রাত-দিন বড় বড় লরি যাচ্ছে। এতেই জায়গায় জায়গায় রাস্তা বসে গিয়েছে। চাপে ফেটে গিয়েছে রাস্তার নীচের জলের পাইপ।’’

শুক্রবার দেখা গেল, বি টি রোড থেকে রাজা মণীন্দ্র রোডে ঢুকতেই দুলতে শুরু করছে গাড়ি। রাস্তা জুড়ে পরপর গর্ত। সেগুলি ভরে রয়েছে জলে। জলের সঙ্গে ভেসে আসা মাটিতে যাতে রাস্তার ধারের নালা বন্ধ না হয়ে যায়, সে জন্য বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় মাটি সাফ করছেন কয়েক জন। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘বৃষ্টি না হলেও গর্তগুলি জলে ভরে থাকে। মাটির নীচের পাইপ-ই তো ফেটে গিয়েছে!’’ মন্টু পাল নামে আর এক স্থানীয়ের কথায়, ‘‘পুজোর মধ্যে এক বার পিচ ঢালা হয়েছিল। তবে কয়েক দিনেই তা উঠে গিয়েছে।’’

রাজা মণীন্দ্র রোড ভারী গাড়ির চাপ নিতে পারবে কি না, ভাবা হয়েছিল? এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর বরোর অন্তর্গত। সেখানকার বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহার দাবি, ‘‘হঠাৎ করেই সেতু বন্ধের নির্দেশ আসে। এই রাস্তা ব্যবহার করা ছাড়া অন্য পথও তো ছিল না।’’ তিনি জানান, এ দিন রাতেই ওই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করছেন তাঁরা। তবে দিনের মতো রাতেও বৃষ্টি হলে কাজ করা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে তাঁদের।

রাস্তার হাল তো প্রায় দু’সপ্তাহ ধরেই খারাপ। তখন তো বৃষ্টিও ছিল না! থামিয়ে দিয়ে বরো চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এলাকা নিয়ে আমাদের চাপ সবার চেয়ে বেশি। কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, আমাদেরই দায় নিতে হবে।’’

Tala Bridge KMC Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy