Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Death

পুজোর সময়ে প্রদীপের আগুন থেকে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার শরীরের ৮২ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা থাকায় সেই ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। তদন্তকারীরা জানান, ওই বৃদ্ধার স্বামী মাসকয়েক আগে মারা গিয়েছেন।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৭
Share: Save:

বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করছিলেন এক বৃদ্ধা। আচমকাই প্রদীপের শিখা থেকে তাঁর পরনের নাইটিতে আগুন ধরে যায়। বৃদ্ধা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন তাঁর সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর চিৎকার শুনে দোতলায় থাকা ছেলে, বৌমা ছুটে এসে বৃ্দ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ও পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরদিন তিনি মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কবিতা কাঁড়ার (৭৫)। তিনি উত্তর কলকাতার সিঁথি থানা এলাকার সাউথ সিঁথি রোডে ছেলে ও বৌমার সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামী আগেই প্রয়াত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে দোতলা বাড়ির নীচের তলায় পুজো করছিলেন কবিতা। প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করার সময়ে আগুনের শিখা কোনও ভাবে তাঁর পরনে থাকা নাইটিতে ধরে যায়। পুলিশের অনুমান, পুজোর সময়ে ধ্যানে মগ্ন থাকায় আগুন যে দ্রুত নাইটিতে ছড়িয়ে পড়েছে, বৃদ্ধা সেটা বুঝতে পারেননি। যখন বুঝতে পারেন, তখন আগুন আরও অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃদ্ধার চিৎকার শুনে উপরে থাকা ছেলে ও বৌমা ছুটে নীচে নেমে মোটা কাপড় দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁরা বৃদ্ধাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখান থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সোমবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার শরীরের ৮২ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা থাকায় সেই ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। তদন্তকারীরা জানান, ওই বৃদ্ধার স্বামী মাসকয়েক আগে মারা গিয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কবিতা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, অল্পেই ভুলে যেতেন কবিতা। পাশাপাশি, বয়সজনিত কারণে নানা রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। নিয়মিত ওষুধ খেতে হত। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Old woman Fire Worship
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE