বেলঘরিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে মেট্রোর সেই নতুন রেক। নিজস্ব চিত্র
করোনা আবহে কবে আবার মেট্রো পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। ‘আনলক’ পর্বে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় মেট্রো চলাচলের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি থমকে রয়েছে। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, সংক্রমণের হার না-কমলে ওই অনুমতি পাওয়া মুশকিল। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে কলকাতা মেট্রোর এসি রেক।
লকডাউনের মধ্যেই দিন তিনেক আগে চেন্নাই থেকে শহরে এসে পৌঁছেছে মেট্রোর এগারোতম এসি রেকটি। মাসখানেক আগে পৌঁছেছিল দশম রেকটি। তারও আগে চিনের ডালিয়ান থেকে আসা একটি রেক ধরে কলকাতা মেট্রোয় এই মুহূর্তে নতুন এসি রেকের সংখ্যা ১২। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও গোটা তিনেক রেক চেন্নাই থেকে এসে পৌঁছনোর কথা। সব ক’টি রেক এসে গেলে চলতি বছরেই নন-এসি রেক বাতিল করার কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে বলে আশাবাদী কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রের খবর, ১২টি-র মধ্যে আপাতত পাঁচটি রেক যাত্রী পরিষেবার কাজে নামানো হয়েছে। বাকি রেকগুলিও দ্রুত কাজে লাগানোর বিষয়ে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। চেন্নাই থেকে আসা রেকগুলি তৈরি হয়েছে সেখানকার ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) এবং হায়দরাবাদের একটি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে। গোড়ার দিকে একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিলম্ব হলেও পরের দিকে সমস্যা কাটিয়ে উঠে সেগুলি উন্নত পরিষেবা দিচ্ছে। তবে ভারত-চিন সংঘাতের জেরে সাময়িক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে ডালিয়ান থেকে রেক এসে পৌঁছনোর প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে সেখান থেকে আসা একটি রেককে এখনও লাইনে নামানো যায়নি। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, আপাতত আইসিএফ এবং হায়দরাবাদের সংস্থাটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি রেক পরপর এসে যাওয়ায় পরিষেবার হাল ফিরবে।
চলতি পর্বের ১৫টি রেক এসে পৌঁছনোর পরে একক ভাবে আইসিএফের তৈরি আরও গোটা দশেক রেক আসার কথা। নতুন ১২টি রেক ধরলে কলকাতা মেট্রোয় এখন এসি রেকের সংখ্যা ২৫। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় দৈনিক পরিষেবায় লাগে গড়ে ২১টি রেক। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে চালু থাকা ১৮টি এসি রেকের সঙ্গে আরও তিন বা চারটি রেক যুক্ত হলেই নন-এসি রেক ব্যবহারের প্রয়োজন ফুরোবে।
অন্য দিকে, লকডাউনের মধ্যেই মাসখানেক আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ছয় কামরার ১৪টি রেক বেঙ্গালুরু থেকে এসে পৌঁছেছে। ফলে সদ্য দৌড় শুরু করা ওই মেট্রোতেও এখন পর্যাপ্ত নতুন রেক রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy