সিঁথির ব্যবসায়ীর কাছে সোনা লুটের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লুটের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই এ রাজ্য ছেড়ে কর্নাটকে পালিয়ে গিয়েছিলেন হুগলির বাসিন্দা মাসুমবাবু মল্লিক নামে ওই অভিযুক্ত। সেখান থেকেই তাঁকে ধরল পুলিশ।
সিঁথির স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা সোনা লুটের ঘটনায় এর আগে সইদুল মণ্ডল নামে এক জন গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনিও হুগলির বাসিন্দা। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে মাসুমের নাম। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সইদুল এবং মাসুম পরিকল্পনা করে এই লুটের ঘটনা ঘটায়। তবে তাঁদের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাঁদের খোঁজ চলছে। অতীতে এই দুই ধৃত এক সঙ্গে এ ধরনের কোনও লুটের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও লুট হওয়া পুরো সোনার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
গত অক্টোবরে সিঁথির এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জিতকুমার দাসের কাছ থেকে লুট করে নেওয়া হয় দু’কেজি ৩৮০ গ্রাম সোনা, যার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। বড়বাজার থেকে সেই পরিমাণ সোনার বাট নিয়ে নিজের স্কুটারে করে বাড়ি ফিরছিলেন সঞ্জিত। সিঁথিতে নিজের ওয়ার্কশপে ঢোকার মুখে আচমকা একটি বাইকে চেপে আসা কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁর পথ আটকান। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেই সোনা লুট করে পালান তাঁরা। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেফতার হল।