প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চের ডাকে দু’দিন ব্যাপী ধর্মঘটের জেরে আজ, সোমবার ও কাল মঙ্গলবার হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, সাঁতরাগাছি, শালিমার ও বিমানবন্দরে অ্যাপ-ক্যাব এবং ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। পাশাপাশি এ-ও আশঙ্কা, ক্যাব এবং ট্যাক্সি কম থাকার ফলে ব্যস্ত সময়ে তারা চড়া ভাড়া (সার্জ) হাঁকবে, এমনকি ট্যাক্সি বা ক্যাব পাওয়াও মুশকিল হতে পারে।
যদিও তাঁরা ধর্মঘট সমর্থন করছেন না বলে জানিয়েছেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেন্স ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ দে-ও জানান, হাওড়া, শিয়ালদহ এবং বিমানবন্দরে প্রি-পেড ট্যাক্সি পরিষেবা সচল রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে আজ এবং আগামী কাল যে চালকেরা বেরোবেন, তাঁদের একাংশ বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন। চালকদের একাংশ বিরোধিতা না করলেও জোর করে ধর্মঘট চাপিয়ে না দেওয়ার কথাও বলেছেন। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, ‘‘জোর করে ধর্মঘট চাপিয়ে দিলে অন্যায় হবে। যাঁদের স্বার্থরক্ষার জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তাঁদের আর্থিক অবস্থার কথাও মাথায় রাখা জরুরি।’’ এআইটিইউসি-র অ্যাপ-ক্যাব এবং ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘চালকেরা বঞ্চনার প্রতিবাদেই ধর্মঘটে শামিল হবেন।’’ সিটুর অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘চালকেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ধর্মঘটে শামিল হবেন।’’
এ দিকে, পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় রবিবার বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে শ’খানেক অ্যাপ-ক্যাব আটক করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, জরুরি পরিষেবার কর্মীদের যাতায়াতের জন্য রবিবার রাতে তাঁদের আকাশবাণী ভবনের কাছে সারা রাত অপেক্ষায় রাখা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy