Advertisement
E-Paper

গ্রাহকের তথ্য কতটা সুরক্ষিত, ফের প্রশ্ন

সর্ষের মধ্যেই ভূত! বিভিন্ন সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে এমন তথ্যসূত্রই পুলিশের হাতে উঠে আসছে। গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও আখেরে যে তা হচ্ছে না, ফের তার প্রমাণ মিলল সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:১৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সর্ষের মধ্যেই ভূত!

বিভিন্ন সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে এমন তথ্যসূত্রই পুলিশের হাতে উঠে আসছে। গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও আখেরে যে তা হচ্ছে না, ফের তার প্রমাণ মিলল সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে।

একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার গ্রাহকদের তথ্য চুরি, আর্থিক প্রতারণা ও তছরুপের অভিযোগে একটি বড় চক্রের হদিস পেল বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় সোমবার রাতে নিউ টাউন থেকে শেখ আনিসুল ইসলাম (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার হয়েছে। চেক বুক, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, টাকা আর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

মার্চে একটি বেসরকারি সংস্থার এক প্রতিনিধি তথ্য চুরি ও তহবিল তছরুপের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সাধারণত আগে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করে টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা করত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তদন্তে নেমে পুলিশ কিছুটা ধন্দে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, টাকা সরিয়ে এ বার তা জমা করা হয়েছিল পেটিএম-এর বিভিন্ন ওয়ালেটে।

কিন্তু গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য কী ভাবে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে?

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই মোবাইল সংস্থা তাঁদের অফিসের কিছু কাজ করায় অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে। সেই সংস্থারই কর্মী ছিল ধৃত আনিসুল। জেরায় আনিসুল জানিয়েছে, তথ্য চুরি করে সে বাইরের কিছু লোককে সরবরাহ করেছিল। তছরূপের টাকার একটি পরিমাণ ভাগও পেয়েছিল সে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ চার জন গ্রাহকের সন্ধান পেয়েছে, যাঁদের টাকা অন্যত্র সরানো হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, কয়েক লক্ষ টাকা হাতানো হয়েছে।

তাই গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত না রাখতে পারলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত না রাখতে পারলে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করার ব্যবস্থা রয়েছে।’’ আরও বলেন, ‘‘সল্টলেকের শিল্পতালুকে দেশি-বিদেশি গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাঁদের তথ্য সুরক্ষিত থাকছে না, তাতে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে শিল্পতালুকে বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে সরকারি নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।’’

Cyber attack Cyber crime Data
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy