প্রতীকি ছবি
বম্বে বা ভোলা ভেটকি নয়, দেশি ভেটকিকে আপন করেই নিজের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে চাইছে বেনফিশ।
ধর্মতলা মোড়ে রাজ্য মৎস্য দফতরের বেনফিশের ফিস ফ্রাই এখন অতীত। গত কয়েক বছরে শহরের গুটিকয়েক স্থানে বেনফিশ মাছের সম্ভার বিক্রি করলেও তার মান হারিয়েছিল। সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতেই এ বার ভেটকি আর চিংড়িকে হাতিয়ার করছে বেনফিশ।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘বেনফিশকে ফের নতুন করে সাজাতে চাই, শহরের আরও জায়গায় মাছের সম্ভার পৌঁছে দিতে চাই। থাকবে আসল ভেটকি থেকে চিংড়ির নানা পদ।’’
বেনফিশ সূত্রের খবর, এত দিন ফিসফ্রাই বা ভেটকির পাতুরিতে ব্যবহার করা হত ভোলা ভেটকি বা বম্বে ভেটকি। এ বার তার স্থান নেবে দেশি ভেটকি। বেনফিশের প্রসেসিং ম্যানেজার তথা শেফ সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর, ডায়মন্ড হারবারের ভেটকি মাছচাষিদের থেকে প্রতিদিন দেশি ভেটকি কিনছি। ক্রেতা টানতে মাছের গুণাগুণের উপরে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) বিজনকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘ভেটকির তিন রকমের প্রজাতির মধ্যে দেশি ভেটকির স্বাদ-গুণ অতুলনীয়। এটি কলকাতা ভেটকি নামেও পরিচিত। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার ভেড়ি, মিষ্টি জলের পুকুরে এই ভেটকির চাষ হয়।’’
ধর্মতলা ছাড়াও ইতিমধ্যে গড়িয়াহাট, সেক্টর ফাইভ, শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, বাইপাসের রুবি হাসপাতাল মোড়, উল্টোডাঙা, বিকাশ ভবনের সামনে বেনফিশের স্টল চালু রয়েছে। সেখানে পোলাও, দেশি ভেটকি, চিংড়ি ছাড়াও মিলছে নানা চাইনিজ় পদও। মৎস্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মাছে-ভাতে বাঙালি মাছের পদ যাতে ন্যায্য দামে পান, তাই বেনফিশের স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy