Advertisement
E-Paper

দু’টি খুনের এখনও কিনারা হয়নি বিধাননগরে

একটি ঘটনা ঘটেছিল বাগুইআটি থানার রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। কয়েক মাস আগে সেখানে একটি বাড়ির একতলার শৌচাগারে রাখা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মানুষের কঙ্কাল।

বিধাননগপ পুলিশ কমিশনারেট।

বিধাননগপ পুলিশ কমিশনারেট। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৩
Share
Save

নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা এলাকায় গত শনিবার ভোরে ট্রলি ব্যাগে ভরে এক বৃদ্ধের দেহ ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরে শুধু ওই বৃদ্ধকে চিহ্নিত করাই নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের টেকনো সিটি থানার পুলিশ। যদিও আরও দু’টি খুনের ঘটনার কিনারা এখনও হয়নি বিধাননগরে। যে দু’টি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।

একটি ঘটনা ঘটেছিল বাগুইআটি থানার রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। কয়েক মাস আগে সেখানে একটি বাড়ির একতলার শৌচাগারে রাখা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মানুষের কঙ্কাল। ড্রামটির মুখ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির মালিক দুর্গন্ধ পেয়ে শৌচাগারে গিয়ে ড্রামের মুখ খুলিয়ে ওই কঙ্কাল দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় আততায়ীকে ধরা যায়নি। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, কঙ্কালটি ছিল এক তরুণীর। ওই বাড়ির একতলায় নেপালের বাসিন্দা এক দম্পতি ভাড়া থাকতেন। কঙ্কাল উদ্ধারের কয়েক মাস আগেই তাঁরা গা-ঢাকা দেন। পুলিশের অনুমান, ওই বাড়িতে নেপালি দম্পতি যৌন ব্যবসা চালাতেন। ওই তরুণী সেখানে এসেই সম্ভবত খুন হয়ে যান।

এই পর্যন্ত এসেই তদন্ত থমকে রয়েছে বলে খবর। পুলিশের দাবি, ওই দম্পতির খোঁজ চলছে। তবে, তরুণীর পরিচয় জানতে পারা গিয়েছিল। তাঁকে নেপাল থেকেই নিয়ে আসা হয়েছিল। এই তদন্ত চলার মধ্যেই নির্বাচনের জন্য বাগুইআটি থানা-সহ বিধাননগর পুলিশের একাধিক অফিসার অন্যত্র বদলি হয়ে যান। সেই কারণেও তদন্তের গতি শ্লথ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য দিকে, গত জানুয়ারিতেই রাজারহাটের কাশীনাথপুরে এক দিন সকালে রাস্তার ধারের বাঁশবাগান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় লোহার তার পেঁচিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেহটি উদ্ধারের পরে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করেছিল। তবে, এখনও পর্যন্ত রহস্যের কিনারা করতে পারেনি রাজারহাট থানা।

টেকনো সিটি থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধের পকেটে ট্রেনের টিকিট পায় পুলিশ। সেই সূত্রে খোঁজ করতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে, সুবোধকুমার সরকার নামে ওই বৃদ্ধ বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। রাজারহাটের ঘটনায় পুলিশের কাছে সূত্র বলতে ছিল হিন্দি ভাষায় মৃত যুবকের হাতে লেখা একটি ট্যাটু। তা দেখে পুলিশ আন্দাজ করে, ওই যুবক বাঙালি নন। পুলিশ সূত্রের খবর, তার পরে তদন্ত আর বেশি দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, খুন করার পরে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনও লরি বা ট্রাক থেকে ওই যুবকের দেহ ফেলে দেওয়া হয়। রহস্যের কিনারা করতে পুলিশ রাজারহাট এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। কিন্তু এ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি। ওই যুবকের দেহ শনাক্তকরণের অপেক্ষায় মর্গেই পড়ে রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bidhannagar Police Commissionerate Bidhannagar New Town

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}