—ফাইল ছবি
রাস্তার মাঝে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের। আচমকাই ‘প্রকৃতির ডাক’ এলে তাতে সাড়া দেওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় তাঁদের। কখনও কোনও বাজারে আবার কখনও দূরে গণ শৌচালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। কারণ, কাজের জায়গা ছেড়ে বেশি দূরে যাওয়াও তাঁদের পক্ষে অসুবিধার। কর্মীদের ওই সমস্যার কথা ভেবে এ বার শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বায়ো টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ।
বুধবারই ট্র্যাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার শহরের কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন, কোথায় কোথায় ওই বায়ো টয়লেট বসানো সম্ভব। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে শহরের ৪০টি জায়গায় ওই পরিবেশবান্ধব টয়লেট
বসানো হবে। একটি বেসরকারি সংস্থা সেগুলি বসানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাচ্ছে। তবে শুধুমাত্র কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাই ওই টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে ডিউটি চলাকালীন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জায়গা ছেড়ে আর দূরে যেতে হবে না পুলিশকর্মীদের।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, শীর্ষ কর্তাদের নজরে এসেছিল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শহরের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে পড়েন কর্তব্যরত কর্মীরা। এ ভাবে শৌচকর্ম করার ছবি বেশ কিছু দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সে সব মাথায় রেখেই কর্তব্যরত কর্মীদের জন্য বায়ো টয়লেট তৈরির ভাবনা এসেছিল। লালবাজার সূত্রের খবর, সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানান, কোথায় ওই বায়ো টয়লেটগুলি বসালে কর্মীদের সুবিধে হবে, তা বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে বায়ো টয়লেট বসানোর জন্য প্রস্তাবিত জায়গা বেছে দেওয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ শুরু হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত ওই বায়ো টয়লেটের ভিতরে থাকবে কমোড, বেসিন এবং আয়না। ভিতরে আলোর ব্যবস্থাও থাকছে। টয়লেটের মাথায় থাকবে ছোট জলাধার। পুরসভার তরফে সেখানে জল ভরে রাখার কথা। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বায়ো টয়লেট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে একটি সংস্থার উপরেই।
সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড যেখানে গণ শৌচালয় নেই, সেখানে বায়ো টয়লেট করার সিদ্ধান্ত পুরসভা আগেই নিয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে পুরসভার সেই টয়লেট বসানোর কথা। একই ভাবে এ বার কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy