Advertisement
E-Paper

স্কুল ফি মকুব সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশপের 

কলকাতার বিশপ চিঠিতে লিখেছেন, তাঁদের স্কুলের শিক্ষকদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৫:৪৬
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

করোনা পরিস্থিতিতে চালু হওয়া লকডাউনের মধ্যে বন্ধ স্কুল। তাই টিউশন ফি বাদে অন্য কোনও ফি তাঁরা দেবেন না। এই দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। ‘চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া’র কলকাতা ডায়োসিসের অধীনে যে স্কুলগুলি আছে, মঙ্গলবার তাদের তরফে কলকাতার বিশপ পরিতোষ ক্যানিং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুল-ফি সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রীর আর্জি মেনে এ বার ‘চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া’র কলকাতা ডায়োসিসের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে ফি বাড়ানো হয়নি। তবে টিউশন ফি বাদে অন্য সব ধরনের ফি মকুব করার যে দাবি উঠেছে, সেই দাবি মানা এই চার্চের অধীনে থাকা স্কুলগুলির পক্ষে সম্ভব নয়। কী কারণে তা সম্ভব নয়, চিঠিতে সেই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছেন কলকাতার বিশপ।

কলকাতার বিশপ চিঠিতে লিখেছেন, তাঁদের স্কুলের শিক্ষকদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। শিক্ষাকর্মীদেরও রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বেতন দেওয়া হচ্ছে। স্কুলভবনগুলির বেশির ভাগই পুরনো। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম নয়। সেই সঙ্গে স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত নানা সরঞ্জাম, যেমন জেনারেটর, সিসি ক্যামেরা, অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র বাবদও খরচ আছে।

বিশপের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, শুধু স্কুলে পঠনপাঠনের বেতন বাবদ শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন মেটানো সম্ভব নয়। তার উপরে স্কুলবাড়ির বেশ কিছু আনুষঙ্গিক খরচও রয়েছে। তাই বেতন বাড়াতে পারলেই সুবিধা হত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং রাজ্য সরকারের অনুরোধে বেতন একই রাখা হচ্ছে।

‘চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া’র কলকাতা ডায়োসিসের অধীনে যে স্কুলগুলি রয়েছে, তার একটি লা মার্টিনিয়ার। ওই স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলভবনে আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। শিক্ষকদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। টিউশন ফি বাদে অন্য সব ফি বাদ দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়।’’ এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ফি যাতে বাড়ানো না হয়, আগেই ওই সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। স্কুলগুলি তাঁদের অধীনে নয়।

আইন মেনে যতটা বলার ততটা বলা হয়েছে আগেই।

Mamata Banerjee School Fees Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy