—ফাইল চিত্র।
বছর আড়াই আগে ঘটা করে শুরু করা পাটুলির ভাসমান বাজারের প্রায় ৪৫টি নৌকাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। ফলে জলেই গেল ৭৬,৫০,০০০ টাকা! শুধু তাই নয়, এখনই নতুন করে ৪৫টি নৌকা কিনতে খরচ হবে আরও প্রায় দেড় কোটি টাকা। ফলে আপাতত ভাসমান বাজার পুরো খোলার আশা নেই বলেই জানালেন কেএমডিএ আধিকারিকেরা।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, এত টাকা খরচ করে তৈরি নৌকাগুলির গুণমান নিয়েই। নৌকার বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এর পরেই নতুন করে ভাসমান বাজারের নৌকা কেনার বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বাকি ৬৭টি নৌকা মেরামতি করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া গিয়েছে। অতএব সেগুলিতে ফের বাজার বসতে পারে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, গত বছর ওই বাজারের কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। এর পরেই সেগুলির অবস্থা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, নৌকার কাঠ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কথাও ওই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। তার পরেই নৌকাগুলি মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, দেখা গিয়েছে, ৪৫টি নৌকা টাকা খরচ করে মেরামতির পরেও সেগুলির আয়ু বেশি দিন থাকবে না। তাই অহেতুক আর্থিক বোঝা না বাড়িয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আলোচনার পরেই নতুন নৌকা কেনার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সংস্থা সূত্রের খবর, প্রতিটি নৌকা তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ভাসমান বাজারের মোট নৌকা ১১২টি। এ ছাড়া কয়েকটি নৌকা মজুত রাখা আছে। প্রাথমিক হিসেবে প্রায় ৪৫টি নৌকা কিনতে খরচ হবে দেড় কোটি টাকার মতো।
এই নৌকাগুলি বিক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তাঁরাই নৌকাগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। নিয়ম অনুযায়ী, জল থেকে তুলে নৌকা মেরামতি করতে হয়। কিন্তু তা না করায় নৌকার কাঠ পচে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। পরে এক বার সিদ্ধান্ত হয়, জলের নীচে শক্ত কাঠামো তৈরি করে নৌকা রাখা হবে। ভাসমান বাজারের বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, জল থেকে নৌকা তুলে রক্ষণাবেক্ষণ করা খরচসাপেক্ষ। এমনিতেই বিক্রিবাটা ভাল হচ্ছে না। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের বোঝা টানা অসম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy