Advertisement
E-Paper

মন ভেজাতে টাকায় টান

ভোটের মুখে কিছু ‘জনমোহিনী’ প্রকল্প নেওয়ায় আয় কমেছে পুরসভার। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভায় ২০১৫-১৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘শহরের সৌন্দর্যায়নে, শহর ও শহরবাসীর প্রয়োজনে কিছু জনমুখী প্রকল্প নিতেই হয়। তাতে আয় হয়তো কিছুটা কমতে পারে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৫ ০০:১৪

ভোটের মুখে কিছু ‘জনমোহিনী’ প্রকল্প নেওয়ায় আয় কমেছে পুরসভার। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভায় ২০১৫-১৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘শহরের সৌন্দর্যায়নে, শহর ও শহরবাসীর প্রয়োজনে কিছু জনমুখী প্রকল্প নিতেই হয়। তাতে আয় হয়তো কিছুটা কমতে পারে।’’

এ বারের বাজেটে ১৬৮ কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হয়েছে। বিল্ডিং, কর-মূল্যায়নের মতো কিছু ক্ষেত্রে আয় কমেছে। যা দেখে পুর-অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, গত এক বছরে কর আদায়ে বিশেষ কিছু ছাড়ের সিদ্ধান্তেই আয় কমেছে। যাকে সমালোচনার অভিমুখ করে বিরোধী কাউন্সিলরেরা বলতে থাকেন এই বাজেট ভোটের আগে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার।

ফেব্রুয়ারিতে ৬ মাসের জন্য অন্তবর্তীকালীন আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ করেন মেয়র। এপ্রিলে পুরভোট হওয়ায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা যায়নি। এ দিন মেয়র জানান, বাজেটে ঘাটতি দেখালেও বছরের শেষে তা মেটাতে সক্ষম হবে বোর্ড। আয় কমার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘‘৩০ বছর ধরে টাকা দিয়ে বেআইনি বাড়ি আইনি করার রেওয়াজ ছিল। হাইকোর্টের রায়ে সেই রিটেনশন ফি ৯ মাস ধরে বন্ধ। ওই বাবদ বছরে ৯০ থেকে ১০০ কোটি আয় হতো।’’ শোভনবাবু জানান, এর ফলে বিল্ডিং দফতরের আয় কমেছে। পুর সূত্রে খবর, ২০১৩-১৪ সালে বিল্ডিং অনুমোদনে আয় হয় ১৭৭ কোটি। ২০১৪-১৫ সালে তা ধরা ছিল ২০৬ কোটি। হয়েছে ১১৩ কোটি। কর-মূল্যায়নে ধরা ছিল ৭৪৫ কোটি। আয় হয়েছে ৬৬৪ কোটি।

পুরসভার এক আমলার মতে, পুরভোটের আগে থেকেই তৃণমূল বোর্ড বিল্ডিং এবং কর-মূল্যায়নে কিছু জনমোহিনী প্রকল্প ঘোঘণা করে। তাতে এক ধাক্কায় কর আদায় কমেছে। তা ছাড়া, শহরে অনেকেই এখন আর সময়ে কর দিচ্ছেন না। কোনও ভাবে তাঁদের ধারণা হয়েছে, সবুর করলে আরও কর ছাড় মিলতেও পারে। মেয়র নিজেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে জানান, মানুষের প্রয়োজনে কর সরলীকরণ হয়েছে। আইন সংশোধন করে জলাশয় সুরক্ষিত করতে ৯০ শতাংশ কর মকুব হয়েছে। বকেয়া করদাতাদের সুদ ৫০ শতাংশ মকুব করতে আইন সংশোধন হয়েছে।

প্রতিক্রিয়ায় সিপিএম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ তো তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার।’’ বিজেপি-র অসীম বসু বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে পরপর ঘাটতি বাজেট পেশ করছে তৃণমূল বোর্ড। এ ভাবে ওঁরা পুরসভার কোষাগার শূন্য করতে চান।’’ ১৩-১৪ জুলাই বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।

Kolkata Municipal Corporation KMC Budget Trinamool CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy