বহুতল থেকে বেরোচ্ছেন তদন্তকারীরা। —নিজস্ব চিত্র।
জোড়াবাগানে নাবালিকা খুনের ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হল আবাসনের দারোয়ানকে। শুরু থেকেই নির্যাতিতার পরিবার বলে আসছিল, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তে নাবালিকার যৌনাঙ্গ পরীক্ষায় নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। খাবারের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শুক্রবার ওই দারোয়ানকে আটক করে প্রথমে এক দফা জেরা করে পুলিশ। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পকসো আইনের ৬টি ধারা এবং অপরাধ আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
জোড়াবাগানের যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি বহু বছরের পুরনো। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেখানেই যৌন নির্যাতন চালানোর পর প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ৯ বছরের মেয়েটিকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপও দেওয়া হয়। ওই বহুতল থেকেই মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় একটি ধারাল ছুরিও। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার ৪টি দাঁত ভেঙে ঘটনাস্থলে পড়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার শোভাবাজার থেকে দিদার কাছে ঘুরতে এসেছিল মেয়েটি। রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। জোড়াবাগান থানায় অভিযোগও জানান পরিবারের লোকজন। তার কয়েক ঘণ্টা পরই এলাকার একটি বহুতল থেকে মেয়েটির দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। সেই সময় তার পরনে কোনও পোশাক ছিল না। তখন থেকেই যৌন নির্যাতনের পর তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আসছিলেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জোড়াবাগান থানা এলাকায়। অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা। পরে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুরলী ধর (অপরাধ দমন শাখা)ও পৌঁছে যান ওই এলাকায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy