নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে শর্তসাপেক্ষে স্ত্রীর বাৎসরিকের আয়োজন করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত শুক্রবার জানায়, বাড়ির মধ্যেই স্ত্রীর বাৎসরিক অনুষ্ঠান করতে হবে সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে। সেই সঙ্গে মানতে হবে কিছু শর্তও।
বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের শর্ত, স্ত্রীর বাৎসরিকে ১০ জন বাইরের লোককে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন সুজয়কৃষ্ণ। আত্মীয়স্বজন-সহ মোট অতিথির সংখ্যা ৩৫ জনের বেশি হবে না। ওই ৩৫ জনের নাম এবং পরিচয় অনুষ্ঠান শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সিবিআইকে জানাতে হবে। অতিথিরা কাজের দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে থাকতে পারবেন। সিআরপিএফ অতিথিদের পরিচয় যাচাই করতে পারবে।
অসুস্থতার কারণে অন্তর্বতী জামিনে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। বাড়ির মধ্যে তাঁর উপর নজর রাখছেন সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
সুজয়কৃষ্ণের জামিনের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে আদালত। আগে শর্ত ছিল, যে তাঁকে প্রতি সপ্তাহে এক বার বেহালা থানার অফিসার ইনচার্জ বা ইনস্পেক্টর ইনচার্জের কাছে হাজিরা দিতে হবে। এখন থেকে আর থানায় হাজিরা দেওয়ার দরকার নেই। জামিনের অন্য সব শর্ত বহাল রেখেছে আদালত। আগামী ২৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণকে গত ডিসেম্বরে তিনটি শর্তে জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি ঘোষ। নির্দেশে তিনি জানিয়েছিলেন—এক, মামলার সঙ্গে যুক্ত কোনও তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট করা যাবে না। দুই, সাক্ষীদের প্রভাবিত করা যাবে না। তিন, পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া নিম্ন আদালতের এলাকার বাইরেও যেতে পারবেন না তিনি। নিয়োগ মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’কে ২০২৩ সালে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল।