Advertisement
E-Paper

Underground roadways: গঙ্গা-গর্ভে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে বন্দরে ট্রাক পাঠানোর ভাবনা

এ ছাড়াও গঙ্গায় ক্রুজ় পরিষেবা শুরু করতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। খিদিরপুরে চুক্তি-শ্রমিক স্মৃতিস্তম্ভের (ইনডেনচার মেমোরিয়াল) কাছে এর জন্য আধুনিক জেটি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলে খিদিরপুরের ওই জায়গা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ-সহ পৃথিবীর নানা দেশে নিয়ে যাওয়া হত চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নদীর নীচে ট্রেন ছোটাতে সুড়ঙ্গ নির্মাণের নজির আগেই তৈরি করেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এ বার বিদ্যাসাগর সেতুর চাপ কমাতে ভারী ট্রাক এবং ট্রেলারের যাতায়াতের জন্য নদীর নীচে সুড়ঙ্গ তৈরির কথা ভাবছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (কলকাতা বন্দর) কর্তৃপক্ষ। শীঘ্রই এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করা এবং রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে। সোমবার এই কথা জানিয়েছেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এখন যান চলাচলের চাপ যথেষ্ট বেশি। কলকাতা বন্দরে প্রতিদিন যে সব ভারী ট্রাক এবং ট্রেলার আসে, তাদের একাংশ বিদ্যাসাগর সেতুর পাশাপাশি নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করে। তবে, ওই সব ট্রাক কলকাতায় আসার কারণে প্রায়ই বন্দর এবং সংলগ্ন এলাকার একাধিক রাস্তায় তীব্র যানজট হয়। সমস্যার আশু সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষ রো-রো পরিষেবা (রোল অন রোল ওভার) বা বার্জের মাধ্যমে ট্রাক পারাপার করার বিষয়েও সমীক্ষা করছেন। খিদিরপুর থেকে শালিমারের মধ্যে রো-রো চলাচল সেই পরিকল্পনার অঙ্গ। এ ছাড়াও কুকরাহাটি থেকে রায়চক এবং বজবজে রো-রো চালানোর বিষয়েও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের।

বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দরে শেল্ড নদীর নীচে লিফকেনশোয়েক সুড়ঙ্গ রয়েছে। প্রায় ১.৩৭ কিলোমিটার লম্বা, দু’লেনের সুড়ঙ্গ পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে সেখানে। সেখান দিয়ে ৫.১০ মিটার উচ্চতার ট্রাক যাতায়াত করতে পারে। অনেকটা সেই সুড়ঙ্গের ধাঁচেই গঙ্গার নীচে তৈরি হতে পারে কলকাতা বন্দরের সুড়ঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বন্দরের চেয়ারম্যান এ দিন বলেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে বরাত দিচ্ছি।’’ তিনি আরও জানান, বাস্কুল ব্রিজ সংস্কারের জন্য আমেরিকার একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। ওই কাজে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা খরচ হবে। নতুন ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক উপায়ে বাস্কুল ব্রিজ ওঠানো-নামানোর কাজ করা যাবে।

এ ছাড়াও গঙ্গায় ক্রুজ় পরিষেবা শুরু করতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। খিদিরপুরে চুক্তি-শ্রমিক স্মৃতিস্তম্ভের (ইনডেনচার মেমোরিয়াল) কাছে এর জন্য আধুনিক জেটি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলে খিদিরপুরের ওই জায়গা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ-সহ পৃথিবীর নানা দেশে নিয়ে যাওয়া হত চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের। ওই অংশটির সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। এ ছাড়াও সংস্কার করা হচ্ছে উট্রাম জেটি। ইতিমধ্যেই নদীপথে বারাণসী পর্যন্ত ক্রুজ় পরিষেবা চালানোর বিষয়ে একাধিক সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে।

Second Hoogly Bridge Kolkata East West Metro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy