দুর্ঘটনা: কেষ্টপুর খালের জলে পড়ে রয়েছে গাড়ি। মঙ্গলবার, সল্টলেকে। নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট রাস্তা পেরিয়ে, গ্রিল ভেঙে খালের জলে গিয়ে পড়ল একটি গাড়ি। সিট বেল্ট বাঁধা অবস্থায় চালক তখন গাড়ির ভিতরে অচৈতন্য। দুই কিশোরের তৎপরতায় উদ্ধার হলেন চালক। দুর্ঘটনার পরে চালক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গাড়ির ব্রেক বিকল হয়ে যাওয়ায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির গতি কত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর একটি মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সল্টলেকের এএ ব্লক সংলগ্ন কেষ্টপুর খালে গাড়িটি পড়ে যায়। বিধাননগরের পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িচালকের আঘাত লাগেনি। গৌতম বরাট নামে ওই চালককে উদ্ধারের করে স্থানীয় কিশোরেরাই। পরে গাড়িটিকে খাল থেকে তোলা হয়। পুলিশ জানায়, খালের একটি সরু অংশে গাড়িটি পড়েছিল। খালের মাঝামাঝি পড়লে চালকের বড় বিপদ হতে পারত।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, চালক গৌতমবাবু যাদবপুরের বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন এবি ব্লকে এক জনের অফিসে যাচ্ছিলেন। সল্টলেকের পিএনবি মোড় থেকে বাঁ দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি খালপাড়ের রাস্তায় যান। সেখান থেকে ডান দিকে ঘোরার সময়ে তিনি বুঝতে পারেন গাড়ির ব্রেক কাজ করছে না। কোনও ভাবেই তিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, শুধুই ব্রেক বিকল, না কি ওই অবস্থায় তিনি ব্রেকের বদলে অ্যাক্সিলারেটরে চাপ দিয়ে ফেলেছিলেন। যার ফলে হয়তো গাড়ি বাড়তি গতি নিয়ে খালে গিয়ে পড়ে। সে সময়ে ভয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ি সোজা খালপাড় লাগোয়া পার্কের লোহার গ্রিলে ধাক্কা মারে। তার পরে গ্রিল ভেঙে কমপক্ষে ২৫-৩০ ফুট জায়গা পার হয়ে খালে গিয়ে পড়ে। কাছেই বিজয় বিশ্বাস নামে এক কিশোর ও তার বন্ধুরা ক্যারম খেলছিল। বিজয় তার এক সঙ্গীকে নিয়ে গিয়ে গৌতমবাবুকে উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy