Advertisement
E-Paper

পুরসভায় চাকরির বিনিময়ে অয়নের দুই এজেন্ট কমিশন নিতেন ৫০ হাজার টাকা! চার্জশিটে জানাল সিবিআই

চার্জশিটের ২১ নম্বর পাতায় শমীক চৌধুরী নামে এক জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অয়নের বন্ধু এবং এজেন্ট ছিলেন এই শমীক। রয়েছে দেবেশ চক্রবর্তী নামে আরও এক জনের নাম।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ১০:০৯
Ayan Sil

অয়ন শীল। —ফাইল চিত্র।

পুর নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন নিয়েছিলেন অয়নের এজেন্টরা। চার্জশিটে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অয়নের মাধ্যমে কলকাতা-সহ ১৬টি পুরসভায় নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে অনেকে চাকরি পেয়েছেন। অয়নের এক এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

চার্জশিটের ২১ নম্বর পাতায় শমীক চৌধুরী নামে এক জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অয়নের বন্ধু এবং এজেন্ট ছিলেন এই শমীক। তিনি ১০-১২ জনকে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিয়েছেন। আর এক জন এজেন্ট ছিলেন দেবেশ চক্রবর্তী ওরফে কানুদা। তাঁর মাধ্যমেও অর্থের বিনিময়ে অন্তত ১৪ চাকরিপ্রার্থী চাকরি পান। বিনিময়ে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন অয়নের এজেন্টরা।

গত বছরের ২০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন। তার আগে অয়নের চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ার বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। অয়নকে জেরার পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও জেরা করে ইডি। বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। অয়নের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু ফাইল দেখা যায়। অয়নের পরিবার সূত্রে জানা যায়, একাধিক কাগজে অয়নের বাবা সদানন্দ শীলকে দিয়ে সই করান ইডি আধিকারিকেরা। ইডির তরফে জানানো হয়, তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত কয়েকটি তালিকাও ছিল। ইডি সূত্রের দাবি, প্রায় শতাধিক উত্তরপত্রের (ওএমআর শিট) প্রতিলিপিও উদ্ধার হয়েছে। ছিল সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও। পরে অয়নকে সিবিআই হেফাজতে নেয়।

চলতি সপ্তাহেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে প্রথমেই নাম আছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচুগোপাল রায় এবং অয়নের। করোনার সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় হঠাৎ করেই ২৯ জনের চাকরি হয়েছিল। সেই নিয়োগে সম্পূর্ণ ভাবে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। ‘মিডলম্যান’ দেবেশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। নিজ়াম প্যালেসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মিডলম্যান হিসাবে আর কে কে কাজ করতেন, কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার হাতে দিতেন, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেবেশের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Ayan Sil Charge sheet CBI Municipality Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy