Advertisement
E-Paper

হাতে ব্যাগ, পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে নিউ গড়িয়ার আবাসনে ঢুকছেন আয়া, তার পরেই কি বৃদ্ধাকে খুন? প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভের প্রবেশপথে দু’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। একটিতে আশালতা এবং জালালকে সামনের দিক থেকে দেখা গিয়েছে। অন্যটিতে পিছন দিক থেকে। এর পরেই কি খুন হন বৃদ্ধা?

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৩০
CCTV footage shows moments when accused were entering New Garia complex

নিউ গড়িয়ার আবাসনে ঢুকছেন আয়া এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী, যাঁদের শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নিউ গড়িয়ার আবাসনে কখন কী ভাবে ঢুকেছিলেন নিহত বৃদ্ধার আয়া আশালতা সর্দার? তার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই আবাসনের যে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে আয়া এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী মহম্মদ জালাল মীরকে দেখা গিয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে আবাসনে ঢুকছিলেন তাঁরা। সে সময় তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালেই শেষ বার গিয়েছিলেন আয়া। শুক্রবার আর যাননি। শুক্রবার সকালে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করা হয়। পাশের ঘরে পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ। তিনি এখনও আতঙ্কগ্রস্ত।

নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভের প্রবেশপথে দু’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। একটিতে আশালতা এবং জালালকে সামনের দিক থেকে দেখা গিয়েছে। অন্যটিতে পিছন দিক থেকে। আশালতার পরনে ছিল কমলা রঙের শাড়ি এবং মেরুন ব্লাউজ়। পাশে জালাল পরেছিলেন হালকা হলদে শার্ট এবং কালো প্যান্ট। আশালতার হাতে বাজারের থলের মতো একটি ব্যাগ ছিল। যে রাস্তা দিয়ে তাঁরা হাঁটছিলেন, সেখানে রিকশা এবং গাড়ি চলছিল। ফুটেজটি ২১ অগস্ট সকাল ৭টা ১৪ মিনিটের।

প্রতি দিন সকালেই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে আসার কথা ছিল আশালতার। নিকটবর্তী একটি আয়া সেন্টার থেকে সদ্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার না-আসায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে নরেন্দ্রপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। তার আগে জালালকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের বাড়ি থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। দু’জনকে শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।

পঞ্চসায়র থানা এলাকার এস৩২ কুলু ভিলার বাড়ি থেকে ৭৯ বছরের বিজয়া দাসের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর হাত এবং পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। পাশের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিজয়ার স্বামী ৮২ বছরের প্রশান্ত দাসকে। বৃদ্ধ দম্পতি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁদের কন্যা জার্মানিতে থাকেন, পুত্র মুম্বইয়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পত্তি হাতানোর লোভেই এই খুন। বাড়ির আলমারি খোলা ছিল। বৃদ্ধার গায়ের গয়নাগুলিও পাওয়া যায়নি। বাড়ির সিসিটিভি-র তার কেটে দেওয়া হয়েছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। শুক্রবার সকালে পরিচারিকা গিয়ে ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। তার পর পুলিশে খবর দেন। পঞ্চসায়র থানা এই বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ করে এবং মাথায় আঘাত করে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের অন্তত ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা আগে। সিসিটিভিতে যে সময়ে দু’জনকে আবাসনে ঢুকতে দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে মৃত্যুর সময় প্রায় মিলে গিয়েছে।

New Garia panchasayar Murder Case Kolkata Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy