Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Street Dogs

নিউ টাউনে কুকুরকে ‘মার’, দু’পক্ষের অভিযোগ

কুকুরপ্রেমীদের অভিযোগ, একটি জখম কুকুরকে এক নিরাপত্তাকর্মী রড দিয়ে মেরেছিলেন। তাই নিয়েই গোলমাল। যদিও নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, কুকুরটিকে মারা হয়নি।

An image of Street Dog

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪৪
Share: Save:

কুকুরপ্রেমীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের বচসাকে ঘিরে সোমবার গভীর রাতে গোলমাল হয় নিউ টাউনের একটি আবাসনে। কুকুরপ্রেমীদের অভিযোগ, একটি জখম কুকুরকে এক নিরাপত্তাকর্মী রড দিয়ে মেরেছিলেন। তাই নিয়েই গোলমাল। যদিও নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, কুকুরটিকে মারা হয়নি। কয়েকটি কুকুর ওই নিরাপত্তাকর্মীর দিকে তেড়ে যাওয়ায়, তিনি রড দিয়ে কুকুরগুলিকে ভয় দেখান। ঘটনাকে ঘিরে বিধাননগর কমিশনারেটের টেকনো সিটি থানায় দু’তরফই অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ওই আবাসনের বাসিন্দা অনির্বাণ বিশ্বাস জানান, কয়েক মাস আগে একটি পথ কুকুরকে কেউ মারায় তার শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগে। ওই কুকুরটি সুস্থ হয়ে ওঠার মধ্যেই সোমবার রাতের ঘটনা। অনির্বাণের অভিযোগ, ‘‘আমরা কুকুরগুলিকে খাওয়াতে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ে ওই কুকুরটিকে এক নিরাপত্তাকর্মী আক্রমণ করেন। কুকুরটিকে রড দিয়ে মারা হয়। আমরা সেই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করি। পাল্টা আমাদের দলের এক মহিলা সদস্যকে ওই নিরাপত্তাকর্মী কুমন্তব্য করেন। তখন ওই মহিলা নিরাপত্তাকর্মীকে থাপ্পড় মারেন। এই নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে জলঘোলা করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কাছে ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে।’’

যদিও নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, কুকুরটিকে মারধর করা হয়নি। কুকুরগুলিকে ভয় দেখানো হয়েছিল। নিরাপত্তা সংস্থার তরফে রঞ্জিতকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘কুকুরগুলি তাঁর দিকে আসায় ওই নিরাপত্তাকর্মী রড নিয়ে সেগুলিকে ভয় দেখান। কুকুরকে মারা হয়নি। বরং এর পরে কুকুরগুলিকে যাঁরা খেতে দেন, তাঁরা নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’’ ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আবাসনে বিক্ষোভ দেখান নিরাপত্তাকর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Street Dogs New Town Animal Lovers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE