বাজেয়াপ্ত: তোলা হচ্ছে লুকনো পিপে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
চোলাই মদের তল্লাশি অভিযান করতে গিয়ে নেশার আর এক নতুন রাসায়নিকের হদিস পেল পুলিশ।
বিঘের পর বিঘে ধানখেত। তার আ়ড়ালেই লুকিয়ে রাখা রয়েছে বড় বড় পিপে। আর পিপে ভর্তি তীব্র কটু গন্ধযুক্ত এক রাসায়নিক। ধানখেতের আড়াল থেকে রাসায়নিক ভর্তি ১০টি পিপে রবিবার উদ্ধার করল পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, বারুইপুর থানা এলাকার ঘোষের চক গ্রামের আধিবাসীরা এক ধরনের রাসায়নিক খেয়েই চোলাইয়ের নেশা মেটাচ্ছেন বলে সম্প্রতি খবর এসেছিল। রবিবার এসডিপিও বারুইপুর অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তল্লশি অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতভাবে তীব্র কটু গন্ধ রয়েছে। পিপে থেকে ছোট ড্রামে ভরে গ্রামে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করা হয় বলে খবর। পুলিশের চোখ আড়াল করতে ওই সব পিপে খানখেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, কাদার মধ্যে ওই সব পিপের ছোট মুখ কাপড় গুঁজে দিয়ে বন্ধ করা রয়েছে। ওই রাসায়নিক কী বস্তু তা জানা এখনও জানা যায়নি। ওই রাসায়নিক ঠিক কী এবং তা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক, তা জানার জন্য নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি বারুইপুরে বিষাক্ত মদ কাণ্ডে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ও প্রশাসন। এক আবগারি অফিসারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। সমস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। গত তিন দিনে প্রায় কয়েক হাজার মজুত চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিষ্ণুপুর থানা এলাকার পৈলান ভাটি থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চোলাই মদ পাচার করা হত বলে তদন্তে উঠে এসেছে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। কয়েক দিন আগে বারুইপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ সুলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুলতান পৈলান থেকে চোলাই কিনে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গায় বিক্রি করত। এখন তো কেঁচো খুঁড়তে সাপও বেরিয়ে পড়েছে। চোলাইয়ের পর আরেক নাম না জানা রাসায়নিকের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যা দিয়ে নেশা করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy