পুজোর হরেক আনন্দের মধ্যে বেড়ানোর আনন্দই বাঙালিকে বুঁদ করে রাখে, আর এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে কমবয়সিরা তাতে মাতে সবচেয়ে বেশি।তবে জয় বাবা ফেলুনাথ-এ পুজোয় বেনারস বেড়ানোর আনন্দ মিললেও সত্যজিতের সোনার কেল্লা-য় পুজো-পরবর্তী শীতে রাজস্থান বেড়ানোর আনন্দ আরও বেশি পছন্দ ছোটদের। ১৯৭৪-এর ২৭ ডিসেম্বরে যখন মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি, আট থেকে আশি সব বাঙালিই তাজ্জব বনে গিয়েছিল দেখে— একটা গোয়েন্দা-ছবির ভিতরেও এ ভাবে বেড়ানোর আনন্দ বুনে দেওয়া যায়!
সোনার কেল্লা এমনই ছবি যা নিয়ে বাঙালির সজীব আগ্রহ আর কৌতূহল কোনও দিন শেষ হওয়ার নয়। ছবিটি এখন মুক্তির পঞ্চাশতম বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, এ বারের শারদীয়া সন্দেশ-এ (১৪৩০) প্রকাশিত হয়েছে ছবিটি জন্মের সময় পরিচালকের কিছু ভাবনার কথা: ‘আরেক সোনার কেল্লা-র গল্প’। পরিচালকের খেরোর খাতা ঘেঁটে ঋদ্ধি গোস্বামী হাজির করেছেন নানা অজানা তথ্য। পরিচালকের প্রথম নির্বাচনে সিধুজ্যাঠার ভূমিকায় ছিলেন উৎপল দত্ত আর হেমাঙ্গ হাজরার চরিত্রে জোছন দস্তিদার। চিত্রনাট্য লেখা শুরু হয়েছিল ৭/১০/১৯৭৩ তারিখে, শেষ হয়েছিল ১৩/১০/১৯৭৩-এ, মাত্র সাত দিনে সত্যজিৎ রায় ছবির মূল কাঠামো ঠিক করে নিয়েছিলেন। চিত্রনাট্যের এই প্রথম খসড়া থেকে একটা আন্দাজ পাওয়া যায় যে, সত্যজিৎ কী ভাবে তাঁর লেখা গল্পটাকে সিনেমার ভাষায় গড়েপিটে নিচ্ছিলেন।
বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যজগতে ১৯১৩ সালে সাড়া তোলা উপেন্দ্রকিশোর প্রতিষ্ঠিত সন্দেশ শতাব্দী ও নানা বাধাবিপত্তি কাটিয়ে এখনও আশ্বিনের শারদপ্রাতের মতোই স্নিগ্ধ আলোয় মন ভরিয়ে দেয় সকলের। ১৩৯৩ বঙ্গাব্দে (১৯৮৬) প্রকাশিত সত্যজিৎ-কৃত প্রচ্ছদটিই পুনর্মুদ্রিত হয়েছে সাম্প্রতিক সংখ্যাটিতে (মাঝের ছবি)। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সন্ধিক্ষণে বালক সন্দীপের আবদারে তার উপহার পাওয়া বইগুলিতে নানা ভঙ্গিতে পুত্রের নাম লিখে দিতেন সত্যজিৎ, সম্পাদক সন্দীপ রায়ের কলমে ‘বাবার আরেক অজানা দিক’-এ সত্যজিতের সেই ক্যালিগ্রাফির নিদর্শন (উপরের ছবি)। সব্যসাচী চক্রবর্তীর সাম্প্রতিক আফ্রিকা সফরে নানান রঙবেরঙের পাখি ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়, তাঁর রচনায়: ‘আফ্রিকার পাখি’।
শতবর্ষে শিশিরকুমার মজুমদার, ‘ফিরে দেখা’ বিভাগে তাঁর ‘দাগী’ গল্পটি পুনর্মুদ্রিত (যে গল্পটি সম্পর্কে লীলা মজুমদার বলেছিলেন, সেরা গল্পের তালিকায় অনায়াসে ঠাঁই করে নেবে), সত্যজিৎ-কৃত হেডপিস ও অলঙ্করণ-সহ। সঙ্গে শিশিরবাবুকে নিয়ে ভবানীপ্রসাদ দে’র রচনা। অকালপ্রয়াত কবি দীপ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সৌম্যকান্তি দত্তের, সুধীর মৈত্রকে নিয়ে তাঁর পুত্র তমাল মৈত্রের লেখা। প্রসাদরঞ্জন রায়ের ‘পার্সিদের ক্রিকেট’, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বেসরকারি টেস্টে বাঙালি ক্রিকেটার’, আর পেলে-কে নিয়ে চিরঞ্জীবের লেখা আমাদের জানার পরিসরকে ক্রমশই বাড়িয়ে তোলে। উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, ছড়া, কবিতা, কমিকসে জমজমাট শারদীয়া সন্দেশ। এই সবের মধ্যেই পথের পাঁচালী-সহ অপুচিত্রত্রয়ী বারংবার দেখার এক চমৎকার স্মৃতিকথন পবিত্র সরকারের, লিখছেন: “আমার মতো সকলেই একটু অন্যরকম মানুষ হয়ে গেছে, এই ছবি দেখার আগের মানুষটা আর নেই।”
যা দিয়েছিনু
রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য ছাত্র ছিলেন প্রমথনাথ বিশী (ছবি), শান্তিনিকেতনের একেবারে প্রথম পর্বে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তী কালে বিশিষ্ট লেখক, অনায়াস বিচরণ ছিল উপন্যাস ছোটগল্প কবিতা নাটক-সহ সাহিত্যের নানা পরিসরে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর মান্য পরিচিতি রবীন্দ্রসাহিত্য-সমালোচনার অঙ্গনেও। প্রমথনাথকে অনেক চিঠি লিখেছিলেন গুরু রবীন্দ্রনাথ, ১৯৭৯ সালে সে সব চিঠি প্রকাশিত হয়েছিল টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে, শুভাকাঙ্ক্ষী রবীন্দ্রনাথ নামে। মূল ১৮টি চিঠি ইনস্টিটিউটকেই দেন প্রমথনাথ, চার দশকেরও বেশি সময় সেগুলি সযত্নে রক্ষিত এই প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়, রবীন্দ্র-চিঠিপত্রের অধিকতর প্রচারের স্বার্থে সেগুলি দেওয়া হবে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনকে। সেই কাজটিই সুষ্ঠু ভাবে সমাধা হল গতকাল ৩ নভেম্বর সন্ধেয়, টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রবীন্দ্রচর্চা ভবনে— দুই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে। ছিল আলোচনা, গানও।
স্বপ্ন নিয়ে
চিত্রকলা, ভাস্কর্য, আলোকচিত্রের সম্ভারে বিরাট এক প্রদর্শনী, তার সঙ্গে রয়েছে স্লাইড শো-ও। সমগ্র নিবেদনটির নামটিও মরসুমের সঙ্গে মানানসই— ‘হেমন্তিকা’। তবে মহানগরে নয়, শহর কলকাতা তার শিল্পডালা নিয়ে হাজির হয়েছে পড়শি রাজ্য ওড়িশার সমুদ্রভেজা পুরীতে। সেখানকার ললিতকলা আর্ট গ্যালারি সংস্কৃতি ভবনে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে কলকাতার শিল্পচর্চা প্রতিষ্ঠান ‘থার্ড আই’-এর অধীনে ‘ফ্রেন্ডস অব ফাইন আর্টস’-এর উদ্যোগ, বাংলা ও ওড়িশার বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের কাজকে এক ছাদের নীচে তুলে ধরা। আলোকচিত্রশিল্পী অতনু পালের সঙ্গে প্রায় ৭০ জন শিল্পী, ৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী, আলোচনা, বৈঠকি আড্ডায় গায়ক লেখক অভিনেতারাও।
পুণ্যজীবন
রিপন কলেজের ছাত্র ছিলেন কালীকৃষ্ণ বসু, কথামৃতকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত যে কলেজে পড়াতেন। শ্রীম-ই তাঁকে এগিয়ে দেন শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী শিষ্যদের পথে, বরানগরে মঠে। সেই ত্যাগজীবনই বরণ করলেন বছর সতেরোর তরুণ। স্বামী বিবেকানন্দের কাছে সন্ন্যাস, নাম হল স্বামী বিরজানন্দ। স্বামীজির প্রিয় শিষ্য সঙ্ঘের কাজে গিয়েছেন ঢাকা থেকে দেওঘর, মায়াবতী। অদ্বৈত আশ্রমের কাজ, প্রবুদ্ধ ভারত পত্রিকা সম্পাদনা, কমপ্লিট ওয়ার্কস অব স্বামী বিবেকানন্দ সম্পাদনার গুরুভার সামলেছেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষষ্ঠ সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী বিরজানন্দের সার্ধশতবর্ষ (জন্ম ১৮৭৩) এ বছর, শ্রীরামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান কালচার অ্যান্ড থেরাপি ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ জানাবে তাঁকে, আগামী কাল ৫ নভেম্বর বিকেল ৪টেয়, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্কে।
বই ঘিরে
প্রায়ই কারা যেন বলে, এ শহর আর বই পড়ে না, কেনে না, ছুঁয়েও দেখে না। উচ্চকিত স্বর নিদান হেঁকে দেয়, এই প্রজন্ম বিদ্যাচর্চায় মন দেবে কী, নিতান্ত ফোনঠাসা। এ-হেন অভিযোগের বিপ্রতীপে বই ঘিরে শহরের এক-একটি উদ্যোগ যেন স্নিগ্ধ প্রত্যুত্তর: কখনও বই-পড়া নিয়েই পত্রিকা প্রকাশ, সদ্য-পড়া বই নিয়ে আড্ডা কোথাও। এমনই এক উদ্যোগ করেছেন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তী গত বছর থেকে, একটি বার্ষিক সভায় সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি গবেষণাগ্রন্থকে আলোচনার আলোয় তুলে ধরা। আজ ৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় যাদবপুরে ইন্দুমতী সভাগৃহে ‘গ্রন্থচর্চা: এই সময়’, গোপা দত্তভৌমিক প্রবীর সরকার অলোক চক্রবর্তী সঞ্জীব দাস ঝুমা কোনার বলবেন সাম্প্রতিক পাঁচটি বই নিয়ে।
অতিথি
১৯৪৫-এ জন্ম এভাল্ড ফ্লিসার-এর, স্লোভেনিয়ার বিশিষ্ট সাহিত্যিক। তাঁর নাটক ও উপন্যাস অনূদিত হয়েছে চল্লিশেরও বেশি ভাষায়। কলকাতা গর্ব করতে পারে, তাঁর পাঁচটি নাটকের অভিনয় হয়েছে এ শহরের নাট্যমঞ্চে। লেখক এখন কলকাতাতেই, আগামী কাল ৫ নভেম্বর সকাল ১১টায় লেক ভিউ রোডের কাফে পজ়িটিভ-এ থাকবেন তাঁরই তিনটি উপন্যাসের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ-অনুষ্ঠানে। শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় ও অঞ্চিতা ঘটকের অনুবাদে মেঘের ওপর কথামালা, গবাক্ষ দর্শন ও মন্ত্রপূত ওডিসিয়াস, প্রকাশ করছে ঋতবাক। ৬ নভেম্বর বিকেল ৫টায় ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হল-এ এক আলোচনাতেও থাকবেন, সন্ধেয় তাঁর নাট্য-আধারিত তোমার আমি নাটকের শততম মঞ্চায়ন ‘গণকৃষ্টি’ নাট্যদলের, ৭ তারিখ সন্ধেয় অ্যাকাডেমি মঞ্চে এভাল্ডেরই হোয়াট অ্যাবাউট লিয়োনার্দো অবলম্বনে তাদের নতুন নাটক অথবা রবিঠাকুর।
মৃণালের সন্ধানে
আকালের সন্ধানে-র সেই দৃশ্যটি মনে পড়ে? ফিল্ম ইউনিটের ক’জন কুইজ় খেলছে, দারিদ্রের এক-একটা ছবি দেখে বলতে হবে কোনটা কত সালের। জানা যায় কোনওটা ১৯৫৯-এর, সে বছরও একটা ‘মিনি আকাল’ হয়েছিল; কোনওটা ’৭১-এর বাংলাদেশের। ‘খেলা’র ছলে পরিচালক মৃণাল সেন (ছবি) বুঝিয়ে দেন আকালের নিরন্তর বহমানতা। এ কারণেই তিনি প্রাসঙ্গিক আজও, চিন্তাভাবনার এই আকালে। শতবর্ষে তাঁকে নিয়ে দু’টি অনুষ্ঠান শহরে, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া ৭ নভেম্বর বিকেল ৪টেয় নন্দন-৩’এ আলোচনায় খুঁজবে ছবিটির সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা, দেখানো হবে ছবিটি। অন্য দিকে, সে দিনই বিকেল সাড়ে ৪টেয় রামমোহন লাইব্রেরি ও ফ্রি রিডিং রুম, সিনে সেন্ট্রাল ও ডব্লিউবিএফজেএ-এর উদ্যোগে লাইব্রেরি সভাঘরে মৃণাল সেন নিয়ে আলোচনায় অঞ্জন দত্ত মমতাশঙ্কর নীতীশ রায় দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, দেখানো হবে খারিজ।
পরশখানি
রবীন্দ্র গীতিনাট্য-নৃত্যনাট্যের স্মরণীয় প্রযোজনাগুলি বাঙালির স্মৃতিতে অক্ষয়। মঞ্চে নৃত্যনির্মিতি, পশ্চাৎপটে গায়ক-বাদকদের অনুপম সাঙ্গীতিক নিবেদন ছিল চিরদিনের রীতি। সে ছবি পাল্টে গেছে, রেকর্ড করা গানের সঙ্গে মঞ্চে নৃত্য, সেই তৃপ্তি আনে কই! শ্রাবণী সেন মিউজ়িক অ্যাকাডেমি সেই পুরাতন তথা চিরন্তন উপচারকে সামনে আনছে শ্যামা নৃত্যনাট্যে। আজ, ৪ নভেম্বর বিকেল ৪টেয় পি সি চন্দ্র গার্ডেনে শ্রাবণী সেন প্রমিত সেন সুব্রত বাবু মুখোপাধ্যায় অর্কদেব ভট্টাচার্য ও সহশিল্পীদের ‘লাইভ’ পরিবেশন। উপলক্ষ মিউজ়িক অ্যাকাডেমির দশম বর্ষ পূর্তি, আর অবশ্যই রবীন্দ্রগানের অন্যতম প্রবাদপ্রতিমা সুমিত্রা সেনের (ছবি) স্মরণ-শ্রদ্ধার্ঘ্য। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধের ভাবনাটি বেশ, সুমিত্রা সেনের রেকর্ডে ধরা কালজয়ী নানা রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রিল্যুড ও ইন্টারল্যুড অবিকল রেখে গানগুলি মঞ্চে গাইবেন প্রতিষ্ঠানের এই সময় ও প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা, ‘গানে তোমার পরশখানি’ শিরোনামে।
দুই নগর
প্যারিস ও কলকাতা। জীবনের হরেক বৈপরীত্য, তবু মিলও কম নয়, চোখে পড়েছিল প্যারিসকে ঠিকানা করে তোলা বঙ্গসন্তান অভিজিৎ ঘোষের। ঐক্যের এই রংকে শিল্পের চর্চায় ধরার চেষ্টা তাঁর, ভারত তথা বাংলাকে পশ্চিমে নতুন করে পরিচয় করানোরও— লোকসংস্কৃতি, পুরাণ, ইতিহাসের সূত্র ধরে। অভিবাসী শিল্পীর প্রবাসজীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও জুড়েছে তাতে। এই সব নিয়েই তৈরি হয়েছে এক ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি’ প্রকল্প, টেক্সটাইল আর্ট আর চিত্রকলা তার মূল উপচার, গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জুড়ে আছে এই শিল্পে উপাদানগুলি পুনর্ব্যবহার করার জীবনদর্শন, ‘জেন্ডার’ ও যৌনতা নিয়ে ভাবনাও। ৩ ও ৪ নভেম্বর বেলেঘাটায় উইভারস সার্ভিস সেন্টার-এর ডিজ়াইন রিসোর্স সেন্টার-এ ১২টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত চলছে শিল্পীর প্রদর্শনী ‘আ টেল অব টু সিটিজ়’। দেখা যাবে শিল্পীর কাজ নিয়ে ভিডিয়ো-চিত্রও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)