—ফাইল চিত্র।
গোলমালের ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও দমদম জেলের ঘটনায় মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ওই ঘটনার তদন্তে বিশেষ টিম তৈরি করেছে সিআইডি। সোমবারেও ওই জেলের পরিস্থিতি থমথমে।
ভবানী ভবনের খবর, বিশেষ দল এ দিন জেলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে, নমুনা সংগ্রহ করে। জেল আধিকারিক, বন্দিদের সঙ্গেও কথা বলে সিআইডি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করছে সিআইডি। পরে ওই দলের কয়েক জন যান আরজি কর হাসপাতালে।
পুলিশি সূত্রের খবর, দু’জনের মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে বাকিদের পরিবারের সঙ্গে। তাঁরা কলকাতায় এসে মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেন। এক বন্দির পরিজন জানান, মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয়ের নয়। একটি মৃতদেহের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্য শনাক্তকরণে আঙুলের ছাপই ভরসা। কারা দফতরের অনলাইন ব্যবস্থায় সব বন্দির আঙুলছাপ থাকে।
দমদম জেলের একাধিক ওয়ার্ডের গেট এখনও ভাঙা। ওয়েল্ডিংয়ের মাধ্যমে জোড়ার চেষ্টা হয়েছে, কাজ শেষ হয়নি। ভাঙা গেটটি সারানো হয়েছে। এখনও সর্বত্র আলো আসেনি বলে বন্দিদের অভিযোগ। জেনারেটর চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয়নি বলেও বন্দিদের পরিজনের অভিযোগ। তবে কারা দফতর সূত্রের দাবি, দুপুরে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্দির আত্মীয়দের দাবি, সকালে কয়েকটি বিস্কুট ছাড়া কিছু দেওয়া হয়নি। লক-আপে জায়গা না-থাকা সত্ত্বেও ঠাসাঠাসি করে থাকতে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, এ দিন অনেক ওয়ার্ডের লক-আপ খোলা হয়নি। কারা দফতরের দাবি, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মাদক পাচার মামলায় অভিযুক্ত এক বন্দির নেতৃত্বেই ওই গোলমালের সূত্রপাত। সেই বন্দির মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy