Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি দেখানো নিয়ে মালা-শোভন গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি রাসবিহারীতে

সাংসদ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মালা রায়ের কয়েকজন অনুগামী এসে ফের আলো জ্বালিয়ে দেন। তার প্রতিবাদ করলে শোভনবাবুকে ঘিরে ধরেন মালা রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত কিছু মহিলা। সায়নদেবের অভিযোগ,‘‘ওই মহিলারা বাবাকে ধাক্কা মারে। বাবার সঙ্গে আমিও ছিলাম। আমাদের গালিগালাজ করে।”এর পর সরকারি কর্মীরাই যন্ত্রপাতি গুটিয়ে চলে যান। ছবি দেখানো সম্ভব হয় না।

রণক্ষেত্র রাসবিহারী চত্বর। নিজস্ব চিত্র

রণক্ষেত্র রাসবিহারী চত্বর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ২২:২১
Share: Save:

সিনেমা দেখানোকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই পক্ষের কোন্দলে তুলকালাম হল রাসবিহারী চত্বর। অভিযোগ, বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তার প্রতিবাদে প্রায় আধঘণ্টা রাসবিহারী মোড় অবরোধ করেন শোভনদেবের লোকজন। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেই অবরোধ ওঠে।

ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শহরের রাজপথে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ছবি দেখানোকে কেন্দ্র করে। শোভনবাবুর দাবি, সরকারের নির্দেশেই বিধায়ক হিসাবে তাঁর নিজের এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাসবিহারী অ্যাভেনিউতে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেই ছবি দেখানোর আয়োজন করেন সরকারি আধিকারিকরা।শোভনবাবু বলেন, ‘‘ছবি দেখানোর জন্য স্ক্রিনের আশপাশের এলাকায় রাস্তার আলো নেভানোর দরকার ছিল। পুরসভা এবং থানাকে জানিয়েই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।’’ শোভনবাবুর ছেলে সায়নদেব বলেন,‘‘প্রথমে আমরা স্থানীয় পুরকর্মীদের বলি রাস্তার আলোগুলো নেভাতে। তাঁরা কিছুতেই আলো নেভাচ্ছিলেন না।” এর পর শোভনবাবুর নির্দেশে স্থানীয় এক ইলেকট্রিসিয়ান রাস্তার তিনটি আলো নিভিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন সায়নদেব।

অভিযোগ এর পরই সাংসদ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মালা রায়ের কয়েকজন অনুগামী এসে ফের আলো জ্বালিয়ে দেন। তার প্রতিবাদ করলে শোভনবাবুকে ঘিরে ধরেন মালা রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত কিছু মহিলা। সায়নদেবের অভিযোগ,‘‘ওই মহিলারা বাবাকে ধাক্কা মারে। বাবার সঙ্গে আমিও ছিলাম। আমাদের গালিগালাজ করে।”এর পর সরকারি কর্মীরাই যন্ত্রপাতি গুটিয়ে চলে যান। ছবি দেখানো সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন:শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল মহারাষ্ট্রে, সময় দিয়েও ‘কথা রাখলেন না’ রাজ্যপাল
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন: গণতন্ত্রের পরিহাস বলল কংগ্রেস-এনসিপি, এখনও সময় আছে, বললেন উদ্ধব

অন্যদিকে মালা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোটা বিষয়ের মধ্যে তাঁর অনুগামীদের কোনও যোগ নেই বলে জানান। মালার কথায়, ‘‘আমি এতটা অবিবেচক নই যে, সরকারি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেব। আসলে ওরা এমনভাবে আলো নিভিয়েছিল যাতে রাসবিহারী ছাড়াও প্রতাপাদিত্য রোড, সাহানগর রোড-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। মানুষ বিরক্ত হয়ে আমাকে ফোন করে।” মালা রায়ের পাল্টাঅভিযোগ,এলাকার মহিলারা আলো নেভানোর প্রতিবাদ জানাতে গেলে শোভনবাবুর লোকজন তাঁদের মারধর করেন।

ঘটনা ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। শোভনবাবুর অনুগামীরা পথ অবরোধ করেন। শোভনবাবু বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা আমি মেয়র এবং দলের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE