২২ বছরেরও বেশি কেটে গিয়েছে। তবে ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে জঙ্গি হানার ঘটনায় নিহতদের আমেরিকা ভোলেনি বলে মঙ্গলবার কলকাতায় এসে জানিয়ে গেলেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেন্ট্রি ও-স্মিথ। ভারত সফরে এসে মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাই ঘুরে স্মিথ এ দিন কলকাতায় ছিলেন। আমেরিকান সেন্টারে জঙ্গি হানায় নিহত, কর্তব্যরত পাঁচ কনস্টেবল— শেখ আশরফ আলি, সুরেশচন্দ্র হেমব্রম, অনুপকুমার মণ্ডল এবং পীযূষকান্তি সরকারের স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে স্মিথ এবং কলকাতার আমেরিকান কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস ডিয়াজ় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।
এখনও পর্যন্ত কলকাতার ওই হামলার ঘটনাই ভারতে কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার একমাত্র ঘটনা। ৯/১১-এর ঘটনার ঠিক পরেই তা তীব্র ভাবে নাড়া দেয়। সাম্প্রতিক কালে সানফ্রান্সিসকো, টরন্টো, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস বা কনসুলেটে ভারত-বিরোধীদের হামলার প্রসঙ্গে সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাঁর দায়বদ্ধতার কথা বলেন স্মিথ। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও হামলা অঘটন মানে সেটা পারস্পরিক সমন্বয়ের খামতি বলেই মনে করি। সব সমন্বয়ের কাজ অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’ কলকাতা পুলিশের আইজি (এসটিএফ) গৌরব শর্মা এবং তাঁর সহযোগীরাও এ দিন আমেরিকান সেন্টারে কর্তব্যরত নিহত পুলিশকর্মীদের শ্রদ্ধা জানান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)