রুদ্ধ: মিছিলের জেরে স্তব্ধ পথ। বুধবার, ধর্মতলা চত্বরে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
দুপুর সাড়ে বারোটায় ধর্মতলা যাবেন বলে নাগেরবাজার থেকে বাসে চেপেছিলেন কসবার বাসিন্দা বাসুদেব মাইতি। তিনি পৌঁছন বেলা তিনটে নাগাদ। নাগেরবাজার থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে অন্য দিন ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগলেও এ দিন লেগেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সৌজন্যে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পদযাত্রা। বুধবার শহরের একাধিক প্রান্ত থেকে বাম ও কংগ্রেসের ‘লং মার্চ’ মিছিল এসে পৌঁছয় রানি রাসমণি অ্যাভনিউয়ে। দুপুরের দিকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধর্মতলার ডোরিনা মোড় অবরুদ্ধ থাকায় মধ্য, উত্তর-সহ দক্ষিণ কলকাতার হাজরা পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন ধীর গতিতে চলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর বারোটার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিয়ালদহ, বাগবাজার, হাজরা মোড়, যাদবপুর, গড়িয়াহাট, বাঘা যতীন থেকে মিছিল ধর্মতলার দিকে রওনা দেয়। ট্র্যাফিক সূত্রের খবর, এ দিন বেলা একটা নাগাদ হাওড়া থেকে বিশাল পদযাত্রা বেরোনোয় হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড-সহ ধর্মতলা সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। মিছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে আসতেই মিছিলকারীরা সেখানে বসে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর পৌনে দু’টো থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিং অবরুদ্ধ থাকায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, গণেশ অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে এজেসি বোস রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি, এসপ্ল্যানেড ইস্ট, জওহরলাল নেহরু রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড-সহ একাধিক রাস্তায় গাড়ি ধীর গতিতে চলেছে। বেলা সাড়ে তিনটের পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাম ও কংগ্রেসের পদযাত্রার জন্য এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘বিকল্প রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy