—প্রতীকী চিত্র।
দাদাগিরির অভিযোগ উঠল অটোচালকদের বিরুদ্ধে! রাস্তার ধারে মোটরবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে, যার জেরে মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভদের (এমআর) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের পাশাপাশি তাঁদের বেশ কয়েকটি বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানা এলাকার সিঁথির মোড়ে।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুরে। সিঁথির মোড়ের কাছে একটি জায়গায় চিকিৎসকেরা নিয়মিত বসেন। প্রতিদিনই মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভদের কয়েক জন সেখানে তাঁদের কাছে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো এ দিন দুপুরেও তাঁদের কয়েক জন সেখানে এসেছিলেন। তাঁদের মোটরবাইকগুলি রাস্তার পাশে রাখা ছিল। বাইকগুলির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল দমদম স্টেশন-সিঁথির মোড় রুটের কয়েকটি অটো। অভিযোগকারীরা জানান, এ দিন তাঁদের বাইকের পাশে একটি ছোট মালবাহী গাড়ি রাখতে যান সেটির চালক। সেই সময়ে মালবাহী গাড়িটি কয়েকটি বাইকে ধাক্কা মারে। যা নিয়ে ওই মালবাহী গাড়ির চালকের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকাই দমদম স্টেশন-সিঁথির মোড় রুটের কয়েক জন অটোচালক সেখানে আসেন। রাস্তায় কেন বাইক রাখা হবে, জানতে চেয়ে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন তাঁরা। তাতে কয়েক জনের গুরুতর আঘাত লাগে। বাঁশ দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাইক।
আক্রান্ত এক মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ বলেন, ‘‘অটোচালকদের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝামেলা ছিল না। হঠাৎই তাঁরা এসে আমাদের মারতে শুরু করেন।’’ আক্রান্তেরা জানাচ্ছেন, বাইক রাখা নিয়ে অটোচালকদের তরফে আগে আপত্তি জানানো হয়েছিল। এ দিন পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ।
এ দিকে, আক্রান্তেরা থানায় যেতেই অটো বন্ধ করে রাস্তায় বসে পড়েন চালকেরা। বেশ কিছু ক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। বাপি দাস নামে এক অটোচালক বলেন, ‘‘বচসা হয়েছিল। তেমন কোনও বড় বিষয় নয়। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।’’ কাশীপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘কী থেকে গন্ডগোল, দেখা হচ্ছে। দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। তাঁদের সামনে বসিয়ে কথা বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy