মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশের যেমন অভাব নেই, তেমনই অভাব রয়েছে সচেতনতার। আর এই দুইয়ের সংমিশ্রণে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে দমদমের তিনটি পুরসভা এলাকায়। তাদের মধ্যে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে পুর প্রশাসনের। বুধবারই বাঙুরের বাসিন্দা এক স্কুলছাত্রীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। চলতি মরসুমে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গিতে তিন জনের ও জ্বরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জরুরি নির্দেশ দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের (সুডা) প্রতিনিধিরা।
দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সাড়ে চারশো ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, সুস্থ এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী মিলিয়ে উত্তর দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত দেড়শোর বেশি। গত কয়েক সপ্তাহে দমদম পুর এলাকাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই পুর এলাকায় ৫০ জনেরও বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। ফলে, দমদমের তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সাড়ে ছশোর বেশি। এলাকার হাসপাতালেও ভর্তি ডেঙ্গি রোগী।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানাচ্ছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগ সম্পর্কে সতর্ক করছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয়। জ্বরের রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তবেই অনেকের টনক নড়ছে। তখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ফলে বিপদ বাড়ছে। মানুষকে সচেতন করতে আর কী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান সঞ্জয়।
এ দিকে, দমদম পুর এলাকায় সম্প্রতি ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানান, দু’টি ওয়ার্ডে আক্রান্ত বেড়েছে। একই বাড়ি থেকে দু’-দু’বার এডিসের লার্ভা মিললেও সচেতনতা ফিরছে না। সময়ে চিকিৎসা না করানোর প্রবণতাও চিন্তা বাড়াচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)