Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
kolkata police

দিল্লিতে বৈঠক সেরে ফিরতেই কলকাতায় গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা রাকেশ সিংহ

শুক্রবার রাতে কলকাতায় ফিরতেই চিড়িয়াখানার কাছে, তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার অফিসারেরা তাঁকে গ্রেফতার করেন।

কংগ্রেস নেতা রাকেশ সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।

কংগ্রেস নেতা রাকেশ সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ১৫:০৩
Share: Save:

দিল্লি থেকে ফিরতেই গ্রেফতার কংগ্রেসের ডাকাবুকো নেতা রাকেশ সিংহ। সামনেই লোকসভা নির্বাচান। দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে রাকেশের ডাক পড়েছিল দিল্লিতে। শুক্রবার রাতে কলকাতায় ফিরতেই চিড়িয়াখানার কাছে, তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার অফিসারেরা তাঁকে গ্রেফতার করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১২টা নাগাদরাকেশের আলিপুরের বাড়ির সামনের রাস্তায় তাঁর গাড়ি ঢুকতেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়।

গত জানুয়ারিতে‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করতে গিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিংমলে হামলা চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় রাকেশের। সেই ঘটনাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।তবে রাকেশের অনুগামীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেরাকেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বহুতল থেকে পড়ে মৃত কুকুর, অভিযুক্ত প্রোমোটার

কংগ্রেসের এই ডাকাবুকো নেতা আগেও বহু বার গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে বারবার পথে নেমে দলের কর্মীদের নিয়ে ‘শক্তিপ্রদর্শন’ করতেও দেখা গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই নেতাকে। রাকেশের অনুগামীদের অভিযোগ, সামনে নির্বাচন বলেই দলের মনোবল ভাঙতে সক্রিয় ওই কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৫ মিটার পেরোতে ৪০০ টাকা!

রাকেশের পরিবারের দাবি, আদালত থেকে এই মামলায় আগাম জামিন নিয়েছিলেন রাকেশ সিংহ। তার পরেও কেন গ্রেফতার করা হল? তাঁদের আরও অভিযোগ, কোনও ‘অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট’ ছিল না পুলিশের কাছে। তার পরেও জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ যদিও এ সব অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE