Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Coronavirus Lockdown

রাতে থানায় থাকবেন ওসিরা 

লালবাজারের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন বাজারের পরিস্থিতির দিকে শুধু নজর রাখা নয়, খোদ ওসিকে বাজার চলাকালীন টহল দিতে হবে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪৪
Share: Save:

দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতাকে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ওসি বা অতিরিক্ত ওসিদের রাতেও থানায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।

বুধবার রাতে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, এক জন আধিকারিককে দিনের মতো রাতেও থানায় থাকতে হবে। জরুরি দরকার ছাড়া বেশির ভাগ ওসি বা অতিরিক্ত ওসিরা রাতে থানায় থাকেন না। প্রয়োজন হলে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ওই নির্দেশের ফলে বাধ্যতামূলক ভাবে এক জন আধিকারিককে রাতে থানায় থাকতে হবে। থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী।

লালবাজারের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন বাজারের পরিস্থিতির দিকে শুধু নজর রাখা নয়, খোদ ওসিকে বাজার চলাকালীন টহল দিতে হবে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন বাজারগুলিকে আরও জায়গা দেওয়া হয়েছে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। উল্টোডাঙা মুচিবাজারের মতো রাস্তার উপরে বসা বাজারগুলিকে মাঠ বা পার্কে সরানো হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ওসিরা থেকে বাজারের দু’দিকে গার্ড রেল বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। বাজারের মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ করায় ভিড় কমেছে। দূরত্ব বজায় থাকছে কি না, তা দেখার জন্য সব বাজারে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে সচেতনতার প্রচারও।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে লালবাজারের নির্দেশে। সেখানেও ওসি বা তাঁর সহকারীকে থাকতে বলা হয়েছে। রাস্তায় বেরোনো গাড়ির নথি

খতিয়ে দেখার নির্দেশ এসেছে। তা পালন করা হচ্ছে কি না, তা দেখতে এ দিন অতিরিক্ত কমিশনারেরা রাস্তা ও বাজারে ঘোরেন। বৃহস্পতিবার

সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লকডাউন বিধি ভাঙার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ৫৮৮ জন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৩৩টি গাড়ি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown KOVID-19 Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE