—প্রতীকী চিত্র।
গরফা থানা এলাকার মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা, মানসিক ভাবে অসুস্থ যুবক পূর্ণেন্দু মণ্ডলের মৃত্যুতে বাবা শম্ভুনাথ ও মা নমিতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খোঁজ চলছে ছোট ভাই শুভেন্দুর।
পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে পূর্ণেন্দুর। পড়শিদের অভিযোগ, খুনের উদ্দেশ্যেই তাঁকে শাবল ও বঁটি দিয়ে আঘাত করেছিলেন পরিবারের লোকেরা।
পূর্ণেন্দুর বাবা-মায়ের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, ২০ বছর ধরে ওই যুবক মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পাভলভ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বিয়েও হয়েছিল পূর্ণেন্দুর। কিন্তু স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান।
ধৃত বাবা-মায়ের দাবি, পূর্ণেন্দুকে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হত, বুধবার পাভলভ থেকে সেটি পাওয়া যায়। যিনি ইঞ্জেকশন দিতেন, তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু পূর্ণেন্দু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং জানান, ইঞ্জেকশন নেবেন না। উল্টে বাবা-মাকে মারধর করতে শুরু করেন। পূর্ণেন্দুর ভাই বাড়িতে ছিলেন। বাবা-মাকে মারধর করতে দেখে তিনি একটি লাঠি দিয়ে দাদাকে মারেন। লাঠি পূর্ণেন্দুর মাথায় লাগে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পূর্ণেন্দুর মৃত্যুর খবরে ক্ষিপ্ত পড়শিরা পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালান। এক পড়শির অভিযোগ এবং ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পূর্ণেন্দুর বাবা, মা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy